রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি
ঈদুল আযহা বা কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছেরর ন্যায় এবারও ফ্রিজ বেচাকেনার ধূম পড়েছে। কুরবানির মাংস সংরক্ষণে কুরবানিদাতাগণ ফ্রিজ কেনায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সারাদেশের মত রাঙ্গুনিয়ায় ফ্রিজ বিক্রির দোকান ও শো-রুমগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্রিজের শো-রুমগুলোতে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য বিশেষ সহজ কিস্তিসহ দেয়া হয়েছে নানা রকম লোভনীয় অফার। কেবল অফার, পুরস্কারের প্রতি আকৃষ্ট হয়েই নয়, অনেকে কুরবানির মাংস সংরক্ষণের প্রয়োজনেই কিনছেন সাধারণ ও ডিপ ফ্রিজ। ঈদুল আযহা যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ফ্রিজ বিক্রির চাপ।
উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান দোভাষীবাজার ও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় র্যাংগস, তোসিবা, তোসিন, মিতসুবিশি, সনি, ট্রান্সটেক, এলজি বাটারফ্লাই, সিঙ্গার, স্যামসাং, হিটাচি, প্যানাসনিক, ওয়ালটন, মিনিস্টার, ভিশন, যমুনা ও মাই ওয়ান ব্র্যান্ডের ফ্রিজের ডিলার ও শো-রুমগুলোতে ঘরের কর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ভিড় করছেন গৃহিণীরা। বেচাকেনা চলছে দেদারছে। ঈদ উপলক্ষে ছাড় ও উপহার রয়েছে এমন ফ্রিজের শো-রুমের দিকে গৃহিণীরা আকৃষ্ট হচ্ছেন। শো-রুম ছাড়াও উপজেলা সদরের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানগুলোতে ফ্রিজ বিক্রি জমে উঠেছে। বিশেষ করে সাধারণ ফ্রিজের পাশাপাশি ছোট ও মাঝারি আকারের ডিপ ফ্রিজের চাহিদা ও বেচাকেনা বেড়েছে।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ডিলার ও শো-রুমের কর্মকর্তারা জানান, কেউ কুরবানির মাংস রাখার জন্য ডিপ ফ্রিজ কিনছেন, কেউ ফ্রিজের ব্র্যান্ড পাল্টাতে নতুন ফ্রিজ কিনছেন। ক্রেতারা ফ্রিজ কিনতে এসে কী ধরনের ছাড়, কী ধরনের উপহার, কিস্তিতে নেয়ার সুযোগ সুবিধা কী রকম তাও বিবেচনায় নিচ্ছেন। বিদেশি ব্রান্ডের ফ্রিজেই ক্রেতারা বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন ব্রান্ডের ফ্রিজের ডিলার ও শো-রুমগুলোতে সাধারণ সময়ের চেয়ে বিক্রি কয়েকগুণ বেড়েছে। কুরবানি ঈদের এ সময়ে দেশিয় ব্রান্ডের পাশাপাশি বিদেশি ব্রান্ডের ফ্রিজও সাশ্রয়ী দামে পাওয়ায় বিক্রয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে রাঙ্গুনিয়ায়।
সরেজমিনে উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান, দোভাষীবাজার, রোয়াজার হাট, মরিয়াম নগর চৌমহনি, পোমরা, শান্তির হাট, রাণীর হাট, ধামাইর হাট, মোগলের হাট, শান্তি নিকেতন. বহুচক্রের হাট, সরফভাটা ক্ষেত্র বাজার, এলাকায় ফ্রিজের শো-রুম ও ফ্রিজ বিক্রির দোকানগুলোতে দেখা যায় ফ্রিজ ক্রয়ে ক্রেতাদের ভিড়।
লিচুবাগানে ফ্রিজ কিনতে আসা মো. নিজাম উদ্দিনের শো রুমে কলেজ শিক্ষিকা অধ্যাপক তাজনুভা তাহনুম সেজুতি জানান, এবার বড়ধরনের একটি ফ্রিজ কিনব বলে এসেছি। দাম দিয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার। আমার স্বামী ও সাথে এসেছে। আরো ২ /১টি শোরুমে দেখার আগ্রহ আছে। কোরবানের ঈদকে সামনে রেখে ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
চন্দ্রঘোনা লিচুবাগানের ভিশন শোরুমের পরিচালক মো. শাহেদ জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে। কোরবান ঘনিয়ে আসাতে ক্রেতাদের ফ্রিজ কিনতে আগ্রহ বাড়ছে।
রোয়াজার হাট ওয়ালটন শো রুমের পরিচালক মো. লোকমান তালুকদার জানান, আমাদের শোরুমে পছন্দের সব ধরনের ফ্রিজ আছে। প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। আমাদের ভাল অফারও আছে।