এম কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি
৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, পাহাড়ে সংঘাত-সহিংসতা এবং পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা-নিরুৎসাহিতকরণসহ নানান কারণে বন্ধ ছিল এই অঞ্চলের পর্যটন খাত। সবকিছু কেটে গিয়ে হ্রদ আর পাহাড়ঘেরা নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলা ভ‚মি রাঙামাটি যেন পর্যটকে মূখর হতে চলেছে। রাঙামাটি ও কাপ্তাইসহ জেলার সকল পর্যটনস্পটের সব ধরনের হোটেল-মোটেলে বুকিং হয়েছে ৫০-৬০ শতাংশ। তবে রাঙামাটির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট বুকিং হয়েছে শতভাগ।
দীর্ঘ ৪ মাস পর গত শুক্র ও শনিবার সকাল থেকে রাঙামাটি জেলার সকল পর্যটনস্পটগুলোতে পর্যটকদের আগমনে মূখরিত ছিল। রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, সাজেক ভ্যালি ও কাপ্তাই পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকের ঢল নামে। দীর্ঘদিন পর পার্বত্যজেলা রাঙামাটিতে ঘুরতে এসে বেজায় খুশি পর্যটকেরাও।
চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কারনে রাঙামাটিতে পর্যটক আসতে পারেনি। রাজনৈতিক অস্থিরতা, পাহাড়ে সংঘাত-সহিংসতা। সব মিলিয়ে ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারছিলাম না। এখন পরিস্থিতি ভালো, প্রশাসনও অনুমতি দিয়েছে। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে চলে আসলাম।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা নীল বিকাশ ও আহসান হাবিব বলেন, দীর্ঘ দিন পর রাঙামাটি পর্যটন স্পটগুলোতে বেড়াতে আসলাম। পর্যটনস্পটগুলোর দৃশ্য দেখে অনেক ভালো লেগেছে। রাঙামাটি এতো সুন্দর, বার বার দেখতে ইচ্ছে হয়। যারা রাঙামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ দেখেনি তারা মিস করবে। এখানে সম্ভাবনাময় দেখার অনেক কিছু রয়েছে। আপনি রাঙামাটি না গেলে বুঝতে পারবেন না। কি যে সুন্দর রাঙামাটির বিশাল হ্রদ ঘেরা পাহাড় ও বন-জংগল।
হোটেল স্কয়ার পার্ক’র ব্যবস্থাপক আবুল হাসান রায়হান বলেন, গত ১ নভেম্বর থেকে টুকটাক পর্যটক আসতে শুরু করেছে। শুক্র ও শনিবার আমাদের হোটেলে ৬০-৭০ শতাংশ বুকিং ছিল। আশা করছি এই সপ্তাহে আমাদের ব্যবসা আরো ভালো হবে। প্রচুর পর্যটক আসবে। যেহেতু রাঙামাটি পর্যটক শহর- তাই এই সেক্টরের সাথে এখানকার জীবন-জীবিকা ওঁতপ্রোতভাবে জড়িত। নভেম্বরের শেষ ও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে পর্যটক বাড়বে বলে আশা করছি।
পর্যটন হলি ডে কমপ্লেক্সের টিকেট বিক্রেতা মো. সোহেল বলেন, শুক্রবার থেকে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। শনিবারও অনেক পর্যটক এসেছেন। এখন যেহেতু সবকিছু স্বাভাবিক তাই পর্যটক আসতে আর তেমন কোনো বাঁধা নেই।