রাঙামাটিতে বাঙালি ছাত্র পরিষদের বৈষম্য ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ

7

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে বৈষম্য ও সন্ত্রাসবিরোধী মহা সমাবেশ বাঙালি ছাত্র পরিষদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি শহরের জিমনেসিয়াম মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরি, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ সকল ক্ষেত্রে পাহাড়ের বাঙালিদের সাথে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যা অনুপাতে সমবন্টন নীতি চালুর দাবি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠনে এবং রাষ্ট্র বিরোধি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে পৌরসভা চত্বর থেকে হাজারো ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে জিমনেশিয়াম মাঠে গিয়ে মহাসমাবেশে মিলিত হয়। মহাসমাবেশে পিসিসিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সি. সহ-সভাপতি মোঃ আসিফ ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবীব আজমের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ও বাঘাইছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এডভোকেট পারভেজ তালুকদার, পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি শাব্বির আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান, পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, পিসিসিপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, পিসিসিপি খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি সুমন আহম্মেদ, পিসিসিপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবু আইয়ুব আনসারী, পিসিসিপি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি গিয়াস উদ্দিন। সচেতন রাঙামাটিবাসীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মোঃ কামাল উদ্দিন, মোঃ নুরুজ্জামান, মোঃ নাছির উদ্দিন। সমাবেশের শুরুতেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হওয়া সকল শহীদদের মাগফিরাত কামনায় ও বন্যার্তদের জানমাল রক্ষায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী মজিবর রহমান বলেন, আদিবাসী হতে হলে ভূমি সন্তান হতে হয় এবং হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করতে হয়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, মায়ানমার ও চীন হতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অভিবাসী হিসেবে এসে বসতিস্থাপন করলে ভূমি সন্তান হওয়া যায় না। এসব কুচক্রীমহলের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের প্রতিহত করতে হবে। তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা অনুপাতে সকল স¤প্রদায় হতে জেলা পরিষদে সদস্য নির্বাচিত করার দাবি জানান। পার্বত্য চট্টগ্রামে ৫৪ শতাংশ বাঙালি জনসংখ্যা হিসেবে পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ সদস্য বাঙালি জনগোষ্ঠী হতে নিয়োগ করতে হবে। বক্তারা বলেন, বৈষম্যমূলক ও বিশেষ উদ্দেশ্য প্রণোদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধন এবং অসহায় ও ভূমিহীনদের মাঝে ভূমি বন্দোবস্তি চালু করতে হবে। উপজাতিরা সমগ্র বাংলাদেশে জমি ক্রয়, বসবাস, চাকরি ও ব্যবসা করতে পারে। একইভাবে তিন পার্বত্য জেলায় অন্য ৬১ জেলার নাগরিকদের সীমিত আকারে বিশেষ বিবেচনায় শিল্প কারখানা স্থাপন কিংবা ব্যবসায়িক বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে জমি ক্রয় করে বসবাস করার সুযোগ দিতে হবে।