রাঙামাটিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র জনতার ৪৮ঘণ্টার আল্টিমেটাম

1

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতাার আল্টিমেটাম আগামী ৪৮ঘন্টার মধ্যে বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্য সরাতে। মঙ্গলবার সকালে শহরের বনরূপা পেট্রোল পাম্প হতে ছাত্র জনতার একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদ চত্বরে এসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ছাত্র জনতা নেতৃবৃন্দ বলেন, সারা দেশে বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্য ও সকল ফ্যাসিবাদ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হলেও রাঙামাটি সিও অফিস সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্যটি এখনও ভাঙা হয়নি। আন্দোলন পেরিয়ে প্রায় ৭-৮মাস হয়ে গেলও যথা স্থানে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্ষ রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের কবর রচনা হয়ে গেছে এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার পরও কি করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্ষ রয়ে গেছে।
ছাত্র-জনতার নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন,বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্যের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্ষ নির্মাণ কালে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাই আমরা বলবো এই ভাষ্কর্যের সাথে যারা সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগের লেডিস এমপি চিনুকেও আসামি হিসেবে গ্রেফতার করতে হাবে। তাই আমরা আগামি ৪৮ঘন্টার মধ্যে এ মৃর্তি ভেঙে ফেলতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা পরিষদ (সাবেক) নির্বাহী প্রকৌশলী ও ফ্যাসিস্ট এর দালাল বিরল বড়ুয়া ও বর্তমানে জেলা পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী প্রকৌশলী এরশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তাই এ দুইজনকেই আইনের আওতায় আনতে হবে। বিরল ও এরশাদ হোসেন ২জনই ফ্যাসিস্ট ও পতিত সরকারের সক্রিয় দালাল ছিল। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই ভাস্কর্ষ ভাংগতে জেলা পরিষদের গাফিলতি রয়েছে।
ছাত্র জনতার উদ্দেশ্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার ও মুখ্য নির্বাহী খন্দকার রেজাউল করিম বলেন, যেহেতু মন্ত্রণালয়ের অর্থ দিয়ে রাঙামাটির বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। সেজন্য আজকেই মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি লিখব তাদের অনুমতি পেলে ভেঙে ফেলবো। জেলা পরিষদ চাইলেই তা ভেঙ্গে ফেলতে পারে না। কারণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে নির্মাণ করা হয়েছে,ভাংগতে গেলেও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে।
এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, মো ইরফানুল হক, সর্বজিত চাকমা ইমাম হোসেন ইমু, হারুন ইবনে আব্দল খালেদ, তানিম ইবনে ইমাম, সায়েদা খাতুন, মো. আব্দুল্লাহ, মোঃ আলা উদ্দীন, মোঃ রাকিব উদ্দীন, জুনায়েদুল ইসলাম, ওয়াহিদুজ্জামান রোমন ও শহিদুল ইসলাম শাফি।।
বক্তারা আরো বলেন, রাঙামাটি ফ্যাসিস্ট সাবেক চেয়ারম্যান ও সদস্যরা প্রচুর অনিয়ম দুর্নীতি করেছে তাই তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদের সম্পদের হিসাব জনগণকে দিতে হবে। তারা জনগণের টাকা মেরে খেয়েছে। ওই টাকার প্রকৃত মালিক রাঙামাটির জনগণ। দীপংকর তালুকদার, মুছা মাতব্বর, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, বৃষ কেতু চাকমা, নিখিল কুমার চাকমা, অভয় চাকমা, রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য এলিপেন চাকমা, ত্রিদিপ দাশসহ আরো অনেক আওয়ামী লীগ নেতা কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করে আত্মগোপনে আছেন। এসব আওয়ামী লীগ নেতাদের ধরে আইনের আওতায় আনতে হবে।