রাঙামাটি প্রতিনিধি
গত শুক্রবার সকাল থেকেই রাঙামাটিতে অঝড়ধারায় বইছে বৃষ্টি। শুক্রবার ও শনিবার মাঝারি ধরনের টানা বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে পাহাড়ধসের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত দু’দিনের বৃষ্টিপাতে লোকজন বাড়িঘর থেকেও বের হচ্ছেন না। স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যেও ধীরগতির কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। পর্যটন ব্যবসা ছাড়াও নিত্যপণ্য পরিবহন ও বাজারজাতেও বৃষ্টি বাগড়া দিচ্ছে। ফলে বেকার সময় কাটাচ্ছেন দিন মজুর ও শ্রমিকেরা। রাঙামাটি আবহাওয়া অফিস বলছে- রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলাসমূহে ৩ নাম্বার সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রাঙামাটি নৌযান চলাচল মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, রাঙামাটি রিজার্ভ বাজারস্থ লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট থেকে ছোট-বড় সব নৌযান ছেড়ে গেছে। তবে ২ দিনের বৃষ্টিপাতে লোকজন ঘর থেকে কম বের হচ্ছেন। যার কারনে যাত্রীও কম হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, গত শুক্রবার ভোর রাত থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার সারা রাত বৃষ্টি পড়ে এখনো বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টিপাতে জনজীবনও স্থবির হয়ে গেছে। টানা বৃষ্টির কারনে বেড়ে গেছে সব ধরনের সবজির দাম।
পরিবেশবাদীরা ও সচেতন মহল বলছেন, এভাবে ঝড়-বৃষ্টি অনবরত বাড়তে থাকলে ভারী বর্ষণে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। সে জন্য পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত সবাইকে সচেতন থাকতে জেলা প্রশাসনকে মাইকিং করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টিপাত হলেই প্রশাসন পাহাড়ধস রোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কিন্তু পাহাড়ধস রোধে স্থায়ীভাবে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার বা স্থানীয় প্রশাসন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, জেলা প্রশাসন দুর্যোগ আবহাওয়া মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। কোনো ধরনের আশঙ্কা দেখা দিলে সাথে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। টানা বৃষ্টিপাতে জেলার কোথায়ও কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দেয়নি।