রাঙামাটিতে করদাতাদের অংশগ্রহণে পৌর প্রশাসকের মতবিনিময় সভা

0

রাঙামাটি প্রতিনিধি

স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন অনুসারে এবং নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (আই ইউ জিআইপি) এর আওতায় “কর নিরূপণ ও আদায় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকালে পৌরসভা মিলনায়তনে ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ শফির সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন-জেলা প্রশাসনের ডিডিএলজি ও রাঙামাটির পৌর প্রশাসক মোঃ মোবারক হোসেন। সভার আয়োজনে ছিল-রাঙামাটি পৌরসভা এবং সার্বিক সহোযোগিতায় ছিল- স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর এলজিইডি, রাঙামাটি। কর নিরূপণ ও কর আদায় সভায় উপস্থিত করদাতারা বলেন, বিগত দিনে রাঙামাটি পৌরসভার কর আদায়ের ব্যাপারে প্রচুর অনিয়ম ও দুনীতি ছিল। কর নিরূপণে পৌরসভার কর নির্ধারণকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। পৌরসভার কর নীতিমালা অনুযায়ী আগামীতে কর আদায়ে পৌর প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়। পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কর নির্ধারণে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন করদাতারা। করদাতারা অভিযোগ করে বলেন, হঠাৎ করে রাঙামাটি পৌরসভার কর তিন গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন প্রকার যাচাই বাছাই না করেই করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। পৌরসভার স্থান ও লেভেল ধরে পৌরকর নির্ধারণের দাবি জানান করদাতারা। ডোর টু ডোর গিয়ে পৌরকর নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়। কর নির্ধারণে বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী।
প্রধান অতিথি পৌর প্রশাসক বলেন, পৌরসভাটাকে সবাই মিলে সাজাতে চাই। আমরা যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলবো না। প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা বটে তবে প্রথম শ্রেনীর সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। আপনারা প্রতিশ্রুতি দেন আইন প্রয়োগ করতে গেলে সহযোগিতা করবেন কি না। কর বিষয়ে আপনাদের সাথে কথা বলে বিবেচনা করা হবে। পৌরসভায় প্রায় ১৫ কোটি টাকার মত বকেয়া রয়েছে। আমার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য। কর্মচারীদের ব্যাপারে ১৫ দিন সময় দিয়েছি। পৌরসভায় ১৯ হাজার করদাতা রয়েছে। ৮-১০ বছর আগে ৩-৪ ক্যাটাগরিতে ১৭ শতাংশ কর নির্ধারণ করা হয়েছিল। তা এখনও সেভাবে নির্ধারিত আছে। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পৌরসভার সচিব মো. ইয়াছিন খন্দকার, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ শফি, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, জেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদক জিসান বখতিয়ার, পৌরসভার হিসাব রক্ষক ফারুকসহ পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।