নিজস্ব প্রতিবেদক
কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীকে গুলি করে ও কুপিয়ে আহত করা, রাউজান নোয়াপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ রনি ও ছাত্রদল নেতা মো. সাগরের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ এবং গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
তাদের উপর হামলার ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারি উল্লেখ করে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর সানোয়ারাস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে আহতদের পরিবারের লোকজন ছাড়াও রাউজান উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন নোয়াপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ রনি। লিখিত বক্তব্য অভিযোগ করা হয় এলাকার ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসা, বিভিন্ন অপরাধের প্রতিবাদ করায় এবং বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরীর গ্রæপের রাজনীতি না করায় আমাকে ইতিমধ্যে কামাল উদ্দীনের নেতৃত্বে লোকমান, লাড্ডুম, শাহ আলম, হাবিব, নাজিম, দেলোয়ার, পেটু জানে আলম আমাকে এলোপাতাড়ি কিরিচ দিয়ে হাতে, পায়ে কুপিয়ে হাতের দুই আঙ্গুল কেটে ফেলে। এসময় ছাত্রদল নেতা সাগরকেও ধারালো কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এরপর সন্ত্রাসীরা আমরা দুজনকে গুলি করে রক্তাক্ত করে। পরে আমরা মরে গেছি ভেবে অনবরত গুলি করে তার পালিয়ে যায়। আহত দুই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে আমরা ১৫ বছর বাড়ি থাকতে পারিনি। এখন আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নিলেও আমরা আক্রান্ত হচ্ছি।
আমরা এর বিচার চাই। সাংবাদিক সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা বিএনপি আহবায়ক ও উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, নোয়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সামসুল হক বাবু, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহবায়ক জিএম মোর্শেদ চৌধুরী, উত্তর জেলা যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক এন. এ বাবুল, উত্তরজেলা যুবদলের সহ সম্পাদক ছরোয়ার চৌধুরী, পাহাড়তলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আইয়ুব খান জনি, উরকিচর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শেখ নাজিম, মোহাম্মদ আকবর, মোহাম্মদ শাকিল, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আনোয়ার আজিম, মোহাম্মদ রায়হান উদ্দিন ইরফান, মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন মুন্না, পরিবারের সদস্য সিরাজ মেম্বার প্রমুখ।