রাউজান প্রতিনিধি
রাউজানে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে এক সহযোগীসহ যুবদল নেতা আরফাত মামুনকে (৪৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার ভোর রাতে রাউজান থানাধীন বাগোয়ান ইউনিয়নের গরীবুল্লাহ পাড়ায় পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এই সময় তাদের কাছে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশিয় বন্দুক ও ৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত যুবদল নেতা আরফাত মামুন রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গরীবুল্লাহ পাড়া আবু আহমেদের ছেলে। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের ব্রাহ্মণহাটে গোলাম আকবর খোন্দকারের সমর্থনে যুবদল নেতার পরিচয়ে তার একটা তোরণ রয়েছে। তবে দলীয় সূত্রে জানা যায় তার কোন দলীয় পদ পদবী নেই। গ্রেপ্তারকৃত তার সহযোগী হলেন বিপ্লব বড়ুয়া (৩৫)। তিনি উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের হোয়ারাপাড়া গ্রামের তেজন্দ্র লাল বড়ুয়ার ছেলে। উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আসাদ আলী মাতব্বর পাড়ায় জুমার নামাজ আদায় ও বাবা-মায়ের করব জেয়ারত করতে আসার পথে চাকতাইয়ের শুঁটকি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ্যে দিবালোকে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়। এই ঘটনার ১০ দিন পর গত ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে মো. মাকসুদ আলম বাদী হয়ে ২৫/৩০ অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে এই মামলায় রমজান আলী ও গিয়াস উদ্দিন নামের দুইজন কারাগারে রয়েছে। তবে এখনও এই হত্যাকান্ডের কোন রহস্য উদঘাটন হয়নি।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) রাসেল পিপিএম বলেন, দুইজনকে আমরা আটক করেছি। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযান শেষে তদন্ত সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।