রাউজানে যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

2

রাউজান প্রতিনিধি

রাউজানে কমর উদ্দিন টিটু নামে সৌদি প্রবাসী এক যুবদলকর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হলদিয়া ইউনিয়নে আমিরহাট বাজারে এই ঘটনা ঘটে। গতকাল রবিবার রাতে নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাত ১১টায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কমর উদ্দিন হলদিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সর্তা গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের ভাবী জানান, কমর উদ্দিন সৌদি আরব প্রবাসী। ৩ মাস আগে ছুটিতে দেশে আসেন। ঈদের পরে সৌদি আরবের জেদ্দায় কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। গত শনিবার ইফতার শেষে কমর উদ্দিন ঘর থেকে বের হন। কিছুক্ষণ পর শুনি তাকে কারা মেরেছে, হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। এরপর আবার খবর আসে তিনি মারা গেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কমর উদ্দিন হলদিয়া ইউনিয়ন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি স্থানীয় যুবদল নেতা জামাল উদ্দিন তালুকদারের অনুসারী। গত শুক্রবার ওই ইউনিয়নে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনি স্থানীয় বাজারে ইফতার মাহফিল ও মাটিকাটা নিয়ে সমালোচনা করেন। এ নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার তর্কবিতর্ক হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারতে শুরু করেন প্রতিপক্ষ। পরে রাতেই হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে।
এ বিষয়ে জামাল উদ্দিন তালুকদার বলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য মহিউদ্দিন জীবন ও তার অনুসারীরা যুবদলকর্মী কমরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তাকে ছুরিকাঘাত পরবর্তী মাথায় আঘাত করে মারা হয়।
তবে অভিযুক্ত উপজেলা বিএনপির সদস্য ও হলদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। গত শুক্রবার আমি রাউজান উপজেলা সদরে দলীয় ইফতার মাহফিলে ছিলাম। যে ছেলেটি মারা গেছে সে নেশা করতো। শুনেছি আগের রাতে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল।
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে কমর উদ্দিন তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মাটি কাটা, তাদের অপকর্ম ও দালাল শব্দ ব্যবহার করেন। এরপরই তার ওপর এই ঘটনা ঘটে। এটিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার তর্কবিতর্ক হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারতে শুরু করেন প্রতিপক্ষ। পরে রাতেই হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।