রাউজানে যুবদলকর্মীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

21

রাউজান প্রতিনিধি

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. আলমগীর (৫৫) নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকায় কায়কোব্বাদ আহমদ চৌধুরী জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. আলমগীর রাউজান পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের চৌধুরী মার্কেট এলাকার সিদ্দিক চৌধুরী বাড়ির আবদুস সত্তারের ছেলে। এ ঘটনায় একই এলাকার মো. কালু সওদাগরের ছেলে মো. রিয়াজ (৩০) গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে মো. আলমগীর তার বড় ভাইয়ের বাড়িতে জায়গা জমি সংক্রান্ত এক বৈঠকে যোগ দেন। সেখান থেকে ফেরার পথে মোটরসাইকেলযোগে আসা একদল সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলমগীর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ছেলে মো. আরাফাত বলেন, নিকট আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী আমার বাবাকে গুলি করতে দেখে আমি দ্রুত পালিয়ে জীবন রক্ষা করি। পরে এসে দেখি বাবাকে মেরে তারা পালিয়েছে। কারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা পুলিশকে বলা হবে।
রাউজান থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও জানান, হত্যাকান্ডে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
এদিকে, যুবদল নেতা আলমগীর হত্যার তীব্র ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংসদ সদস্য এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহব্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার। বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, নিহত আলমগীর আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর সম্প্রতি কারামুক্ত হয়েছেন। কিন্তু আজ স্বাধীন সার্বভৌম দেশে রাউজানের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তাকে নির্মমভাবে খুন হতে হলো। বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকান্ডে জড়িত ও খুনের নির্দেশদাতাদের
চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।