রাউজানে প্রাক্তন চেয়ারম্যানসহ তিন পরিবারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইলসহ লুট হয়েছে ২০ লক্ষ টাকার বেশি সম্পদ। ডাকাতিকালে বাধা দেওয়ায় একজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া এলাকার শফি চেয়ারম্যানের বাড়ির জহুরুল ইসলাম, শেখ জাহেদুল ইসলাম ও মো. আশরাফের পরিবারে এ ঘটনা ঘটে। নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাত্র এক-দেড় কিলোমিটারের মধ্যে এ ঘটনায় এলাকার লোকজন আতংকিত হয়ে পড়েছে।
ডাকাতকবলিত পরিবারের সদস্য শেখ জাহেদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত ২টার দিকে ১০-১২ জন সশস্ত্র ডাকাতদল প্রথমে তাদের পাকাবাড়ির নিচতলায় বসবাসকারী চাচা জহিরুল ইসলামের ঘরের কাঠের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে। এরপর ডাকাতরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে একটি দল নিচতলায় বসবাসকারী চাচা জহিরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে বেধে রেখে ৩টি আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ৭০ হাজার টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, ৫টি দামী মোবাইল সেট লুট করে। এ সময় তার চাচাতো ভাই মো. পারভেজকে (৪০) মাথায় দা দিয়ে গুরুতর জখম করে ডাকাতরা। আরেকটি ডাকাতদল দোতলায় বসবাসকারী তাদের যৌথ পরিবারের (তিন ভাইয়ের) বিভিন্ন রুমের ৫টি আলমিরা, ৫টি রুমের দরজা ভেঙ্গে আনুমানিক নগদ দুইলাখ টাকা, ২৩ ভরি স্বর্ণালংকার, ৪টি দামী মোবাইল সেটসহ মূল্যেমান মালামাল নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে বাড়ির পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে কেয়ারটেকার আশরাফের পরিবারের সদস্যদের ছুরি দেখিয়ে তার ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীর দেড় ভরি স্বর্ণালংকার, ৩টি মোবাইল সেট লুট করে নেয়।
এ প্রসঙ্গে ওসি কেপায়েত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ডাকাতির ঘটনায় আমরা মামলা নিচ্ছি, ডাকাতদের চিহ্নিত করে ধরার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার দুপুরে ডাকাতির খবর পেয়ে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবীর সোহাগ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ, উরকিরচর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার সোহেল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল কান্তি বড়ুয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।