রাউজান প্রতিনিধি
প্রতিবছরের মতো কোরবানী উপলক্ষে গরু বিক্রি করতে রাউজান হয়ে বোয়ালখালীতে যাচ্ছিলেন একদল গরু ব্যবসায়ী। চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাবার বাগান এলাকায় ব্যবসায়ীদের গরুবোঝাই ট্রাকের গতিরোধ করে ট্রাকসহ গুরু লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতের দল। অভিযোগ পেয়ে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভ‚ঁইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে লুটকৃত ট্রাকসহ ৭ লাখ টাকা মূল্যের ৮টি গরু উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। একই সঙ্গে ডাকাতদলের ফেলে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।
গত শনিবার রাত ১২টায় এই ঘটনা ঘটলেও গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় পুলিশ ট্রাকসহ ৮টি গরু উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
রাউজান থানা সূত্র মতে, পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাঙামাটির পার্বত্যাঞ্চলের দূর্গম পাহাড়ি জনপদের মাইনী থেকে ৯টি গরু কিনে ট্রাকে (চট্টমেট্রো-ন-১১-৭৭৪৬) করে বোয়ালখালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন মৌসুমী গরু ব্যবসায়ী আবদুর রহিম। গত শনিবার রাত ১২ টায় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাবার বাগান এলাকায় পৌঁছালে ৪-৫ জনের ডাকাতদল তাদের ট্রাকটির গতিরোধ করে। গরু ব্যবসায়ীসহ চালককে অস্ত্রের মুখে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দিয়ে ট্রাকভর্তি ৯টি গরু, ব্যবসায়ীর ব্যাগে থাকা নগদ ১ লাখ টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন নিয়ে যায় তারা। পরে রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভ‚ঁইয়াকে অবহিত করা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাউজান রাবার বাগান থেকে ট্রাকসহ ৮টি গরু উদ্ধার করেন। এসময় ছিনতাইকারীদের একটি মোটরসাইকেল (চট্ট মেট্রো-ল-১৭-১৫৭৮) জব্দ করা হয়।
এদিকে রাউজান থানা পুলিশ কর্তৃক গরু উদ্ধারের খবরটি ছড়িয়ে পড়লে চুরি যাওয়া গরুর মালিকেরা থানায় ভীড় করতে দেখা যায়। তাদের একজন নাছির উদ্দিন বলেন, গত শনিবার রাতে তার ৪টি গরু চুরি হয়েছে। তবে থানায় থাকা গরুগুলোর মধ্যে আমার গরু নেই।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভ‚ঁইয়া বলেন, সড়কে গাড়ি আটকে গরু ছিনতাইয়ের বিষয়টি আমাদের অবহিত করার সাথে সাথে অভিযান শুরু করি। অভিযান চালিয়ে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাবার বাগান থেকে ৮টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। দুস্কৃতিকারীদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আরও একটি গরু উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে আসামিদের শনাক্ত করা গেছে। এ বিষয়ে মামলা করা হয়েছে। যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তাদের নামে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে গরুগুলো মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হয়।