তৈয়ব চৌধুরী, রাউজান
চট্টগ্রামের রাউজানের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের নাম উজির আলী মাঝির সড়ক। রাউজান পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছিল অনেক আগেই। এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের কোথাও কোথাও ইট উঠে কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। আবার কোথাও ভেঙে গেছে কালভার্ট। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে সড়কের উপর দিয়ে বৃষ্টির পানি চলাচল করে সড়কের বিভিন্নস্থানে ছোট-বড় ৩০-৪০টি গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় দেড় কিলোমিটারের এই সড়ক জুড়ে কেবল ভোগান্তি। কয়েক শত পরিবারের সদস্য, কৃষিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার হাজারো মানুষের যাতায়তের মাধ্যম এ সড়কের ভোগান্তি দীর্ঘ ১৭ বছরের বলে দাবি স্থানীয়দের। একটি সড়কের কারণে অনেক আগে গর্ভবতী নারীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে গর্ভে সন্তানের মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সড়কের যাতায়াতকারী স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. নাছির। তিনি আরও বলেন, আমাদের সড়কটি ১৭ বছর ধরে অবহেলিত। গত ১৭ বছরে একটি ইটের কণাও পড়েনি এ সড়কে। আমাদের এ দুর্ভোগ কখনো লাঘব হবে কি-না জানিনা। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ শফি বলেন, সরকার আসে সরকার যায়, আমাদের ভোগান্তি থেকেই যায়। একটি সড়কের জন্য এলাকা জনসাধারণ অনেক কষ্টে আছেন। মো. হোসেন নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, ভোটের আগে সড়কের কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নেওয়ার পর আর কেউ খবর নেয়না। মো. রানা নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘পৌর কর্তৃপক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের নিকট একের পর এক আবেদনপত্র দিয়ে কাজ হয়নি। আমাদের দেখার কেউ নেই। আমাদের এ এলাকাটি শুধু জনবসতিপূর্ণ এলাকা নয়, কৃষিনির্ভর এলাকাও বটে। একটি সড়কের জন্য আমাদের এলাকায় কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে বিলের পানি কুচকুচে কালো হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ছড়িয়ে পড়ে রোগ-জীবাণু। সরকারের নিকট আমাদের দাবি, আমাদের এ ১৭ বছরের ভোগান্তি যেন লাঘব করে দেয়। সড়কের নরক যন্ত্রণা থেকে আমরা মুক্তি চাই। রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, এটি পৌর কর্তৃপক্ষ দেখবে। পরে পৌর প্রশাসক অংচিং মারমার নম্বরে ফোন করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। ক্ষুদে বর্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বলেন, ‘আমরা রাউজানের বাদ পড়া সড়কগুলোর কাজ করার জন্য এলাকা ভিত্তিক তালিকা প্রণয়ন করছি। আবেদনের প্রেক্ষিতে তালিকাভুক্তি করে শীগগরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’