রাংকুট বৌদ্ধ বিহারের সৌন্দর্যে অভিভূত উপদেষ্টা

5

রামু প্রতিনিধি

কক্সবাজারের রামুর ঐতিহাসিক রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। গতকাল সোমবার বিকাল তিনটার দিকে উপদেষ্টা রামু রাংকুট বনাশ্রম বিহারে পৌঁছলে তাঁকে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান বিহারের অধ্যক্ষ কে শ্রী জ্যোতিসেন মহাথেরোসহ স্থানীয় বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ।
ধর্ম উপদেষ্টা রাংকুট বৌদ্ধ বিহার, রাংকুট পদ্মবীনা জুলন্ত সেতু, মীরাক্কেল গার্ডেনসহ বিহারের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন এবং বিহারের ধর্মীয় গুরুসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ কে শ্রী জ্যোতিসেন মহাথেরো রামুর ঐতিহাসিক তীর্থস্থানের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গুরুত্ব ধর্ম উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ১৯৮৩/৮৪ সালের দিকে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স অধ্যয়নকালীন এই রাংকুট বৌদ্ধ বনাশ্রম বিহারটি দর্শন করতে এসেছিলেন এবং বাংলাদেশ টাইমস পত্রিকায় এই রাংকুট বনাশ্রমের ইতিহাস নিয়ে ৩টি আর্টিক্যালও লিখেছিলেন। দীর্ঘ ৪০/৪২ বছর পর আজ আবার দর্শন করতে এসে এই বিহারের অফুরন্ত উন্নতি ও সৌন্দর্য দেখে খুবই অভিভূত হয়েছেন। তিনি ঐতিহাসিক এ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেন। পরে তিনি তীর্থস্থানের পরিদর্শন বইতে সংক্ষিপ্ত মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। এতে তিনি লিখেন, ‘আজ সরকারি সফরের অংশ হিসেবে ঐতিহাসিক রাংকুট বনাশ্রম তীর্থস্থান পরিদর্শন করি। খ্রিস্টপূর্ব ২৬৮ সালে মৌর্য বংশের প্রতাপশালী সম্রাট অশোক এই তীর্থস্থানটি প্রতিষ্ঠা করেন। আমার পরিদর্শনকালে তীর্থস্থানটির বড় ভান্তে জ্যোতিসেন মহাথের উপস্থিত ছিলেন। এই তীর্থস্থানের সামাজিক কর্মকান্ডসমূহ অত্যন্ত প্রশংসনীয়, আমি সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতায় অত্যন্ত মুগ্ধ। আমি প্রতিষ্ঠানটির সমৃদ্ধি কামনা করি।’
পরিদর্শনকালে উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, রামু উপজলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল ইসলাম, রামু থানার ওসি (তদন্ত) শেখ ফরিদ, কক্সবাজার জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক নিজামাী, রামু প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা মক্কা রামু শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এস মোহাম্মদ হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।