বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারত কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বার্তা সংস্থা এএনআই জানায়, শুক্রবার দিল্লিতে রাজীব সিক্রির লেখা ‘স্ট্র্যাটেজিক কনড্রামস: রিশেপিং ইন্ডিয়াস ফরেন পলিসি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের
জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ক্ষমতার পালাবদল সবকিছু ওলটপালট করে দিতে পারে। কিন্তু ভারতকে একটি ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে, যেখানে দুই দেশেরই স্বার্থ জড়িত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গেছে। যখন যে সরকার থাকবে, তার সঙ্গেই আমরা কাজ করব, সেটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের এটাও স্বীকার করতে হবে যে,রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটতে পারে এবং সেটা অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন আনতে পারে। এখানে আমাদের অবশ্যই পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়টা দেখতে হবে।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে বাংলাদেশে, যাতে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা যায়। এর আগে গত ১৭ অগাস্ট অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ হয়। ইউনূস সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেন। ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে নরেন্দ্র মোদী লিখেছিলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে ‘বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে’ তার কথা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং অগ্রগামী বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছি। তিনি আমাকে বাংলাদেশে হিন্দুসহ সমস্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন।