স্পোর্টস ডেস্ক
এককভাবে কাউকে চিহ্নিত করা কঠিন। কারণ, পুরো দলই দারুণ খেলেছে। শুধু পাকিস্তানের বিপক্ষে নিকট অতীতেই নয়, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মুঙ্গানুই টেস্ট বাদ দিলে কয়েক বছরেও দেশের বাইরে বাংলাদেশ টেস্টে এত ভালো ক্রিকেট খেলেনি।
পুরো দল ক্রিকেটের তিনটি শাখা; ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে একসঙ্গে জ্বলে উঠেছে। সময়ের দাবি মিটিয়েছে। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ঘণ্টা বাদ দিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে দুই টেস্টের প্রতিটি সেশনে করণীয় কাজগুলো ঠিকমতো করেছে টাইগাররা।
দলগত পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। আগের ১৩ ম্যাচেও পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে না পারা বাংলাদেশের পারফরম্যান্স এই সিরিজে কেমন ছিল, সেটি বোঝাই যায়।
ভারত দল পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। মোহাম্মদ শামি ছাড়া রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রিশভ পান্ত, জাসপ্রিত বুমরাহ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজার মতো শীর্ষ তারকা; সবাই আছেন এই স্কোয়াডে। প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজ মাটিতে সম্ভবত বিশ্বের কঠিনতম প্রতিপক্ষও ভারত।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ২৬ রানে ৬ উইকেট খোয়া যাওয়ার পর টেস্ট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দায়িত্বশীল ও লড়াকু শতক উপহার দেওয়া লিটন ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বিহাইন্ড দ্য উইকেটে ছিলেন দারুণ। ভারতের বিমান ধরার আগে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেছেন লিটন। তিনি মনে করেন, ভারত সফর হবে চ্যালেঞ্জিং। তারা এমনিতেই সমৃদ্ধ দল। শক্তিশালী ও কঠিন প্রতিপক্ষ। পাকিস্তানের বিপক্ষে কোকাবুরা বলে ভালো করেছিল টাইগাররা। কিন্তু ভারতের মাটিতে রোহিত শর্মার দলকে সামলাতে হবে এসজি বলে। কাজটা সহজ নয়। দুই বলের গঠন শৈলীতে পার্থক্য নেই। তবে আচরণগত পার্থক্য আছে। তাই লিটন মনে করছেন, ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটি তুলনামুলক কঠিন হবে।
লিটন বলেন, ‘দেখেন, আমরা পাকিস্তানে খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। আমার কাছে মনে হয়, এটা অতীত হয়ে গেছে। এটা থেকে আমরা কিছুটা আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। ভারতের মাটিতে যখন খেলবো, সেক্ষেত্রে ভারত সবসময়ই ভালো দল। আমি বলবো যে, এটা খুব চ্যালেঞ্জিং হবে। তাদের কন্ডিশনে তারা খুব ভালো দল। টেস্ট ক্রিকেটে যদি র্যাঙ্কিং ধরেন তাহলেও তারা উপরে। আমাদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং হবে।’