যেখানে যতটুকু জায়গা আছে, গাছ লাগান

28

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ বিপর্যয় থেকে দেশবাসীকে বাঁচানোর পাশপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বেশি বেশি গাছ লাগানোর আহব্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আজকে (শনিবার) বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমি নিজে বৃক্ষ রোপণ করলাম। সেই সাথে দেশবাসীকে আহব্বান জানাবো, যার যেখানে যতটুকু জায়গা পান গাছ লাগান। তিনি বলেন, তিনটা করে গাছ লাগাতে পারলে সব থেকে ভাল হয়। আর সেটা যদি না পারেন অন্তত একটা করে পারলেও লাগাবেন। আমরা চাই, একটা ফলদ, একটা বনজ, একটা ভেষজ-এই তিন ধরনের গাছ লাগাবেন।
শেখ হাসিনা গতকাল শনিবার সকালে গণভবনে একটি গাছের চারা রোপণ করে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২১’ এর উদ্বোধনকালে দেয়া ভাষণে একথা বলেন। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ রক্ষায়, নিজের আর্থিক সচ্ছলতার ক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে সব দিক থেকে যেটা সবচেয়ে বেশি উপযোগী সেটা হলো ব্যাপক ভাবে বৃক্ষরোপণ করা।
গাছের যত্ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে সরকার প্রধান বলেন, আপনারা সকলে গাছ লাগাবেন এবং গাছের যতœ করবেন। শুধু গাছ লাগালে হবে না, গাছ যাতে টিকে থাকে সে জন্য যত্ন করতে হবে।সেই গাছ একদিন ফল দেবে, কাঠ দেবে অথবা ওষুধ দেবে, আপনারা নানা ভাবে উপকৃত হবেন।
তিনি বলেন, আমাদের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। এই দেশ আমাদের। আজকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে, আমাদের সবুজ বাংলাকে আরও সবুজ করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশকে আমরা সোনার বাংলা হিসেবে গড়তে চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, আসুন আমরা সকলে মিলে ব্যাপক ভাবে এ দেশে বৃক্ষরোপণ করি এবং আমাদের সোনার বাংলাকে আরও সবুজ বাংলা করি।
বনায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা জানিয়ে টানা তিন বারের সরকার প্রধান বলেন, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। আমরা এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, বনায়নের ক্ষেত্রে আমাদের অনেক সাফল্য। আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি তার ফলে আজকে প্রায় ২২ ভাগ বনায়ন সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া, আমাদের পারিবারিক ভাবে বাগান সৃষ্টি হচ্ছে। সকলেই এখন সচেতন।
পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার (সচিব) মো. নজরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কে এম সাখায়াত মুন একথা জানান এ বছর মুজিববর্ষে দেশকে সবুজে শোভিত করে ফেলতে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযানের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে-‘মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি।’
অন্যদিকে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) এবার বিশ্বজুড়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে-‘ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন বা বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার।’
এ উপলক্ষে সরকার আশা করে দেশের জনগণ বিশেষ করে তরুণ সমাজ বাস্তুতন্ত্র এবং পরিবেশগত বৈচিত্র বজায় রাখতে গুরুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
যে কারণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় দিবসটি উপলক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।