যুবসমাজকে কারিগরি জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দক্ষতায় গড়ে তুলতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী

19

কারিগরি শিক্ষার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি ও প্রচারণাসহ শিক্ষার্থীদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক স্কিলস ও ইনোভেশন প্রতিযোগিতা গতকাল শনিবার নগরীর চট্টেশ্বরী রোডের কাজির দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন অ্যাকসেলারেটিং অ্যানড স্ট্রেনদেনিং স্কিলস ফর ইকনোমিক ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পের আওতায় এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়।
প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২০টি কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নির্বাচিত সর্বমোট ৫৫টি প্রকল্প প্রদর্শিত হয়। মূল্যায়ন কার্যক্রমের পর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রতিযোগিতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। এসময় অংশগ্রহণকারীরা কারিগরি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে নানাবিধ স্লোগান সম্বলিত বিভিন্ন প্লাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বিষয়ক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রায় ৩৫০ জন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজিজ তাহের খান এবং অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা ও এডিসি (রাজস্ব) মো. আব্দুল মালেক। অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ। উপস্থিত ছিলেন অ্যাসেট প্রকল্প পরিচালক আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি বলেন, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে কারিগরি এবং দক্ষতা উন্নয়ন শিক্ষা জাতীয় উন্নয়নের অপরিহার্য অঙ্গ। এই সময়ে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে গেলে যুবসমাজকে কারিগরি জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতায় পারদর্শী করে তুলতে হবে। স্কিলস ও ইনোভেশন কম্পিটিশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা, দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতা উন্নয়নের এই প্রক্রিয়াটি গতিশীল হবে এবং এর মাধ্যমে তারা জাতীয় উন্নয়নে আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আইওটি বেজড এপ্লায়েন্স কনট্রোল স্মার্ট একাডেমি ইনফাস্ট্রাকচার প্রকল্পটি প্রথম স্থান অর্জন করে। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর স্মার্ট ফুটওভার ব্রিজ প্রকল্পটি। তৃতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর স্মার্ট একাডেমিক ইনফাস্ট্রাকচার প্রকল্পটি। বিজ্ঞপ্তি