নিজস্ব প্রতিবেদক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গুজব ও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেত্রী সাদিয়া মকসুদ চৌধুরী। এডিট করা ভিডিও দিয়ে ভুয়া একটি পেজ থেকে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। যেখানে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে এমন অপকর্ম চালানো হচ্ছে এমন অভিযোগ এমদাদুল হক বাদশার।
গতকাল শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা।
সংবাদ সম্মেলনে বাদশা বলেন, জামানা খাতুন গং থেকে আমি একটি জমি আমোক্তারনামামূলে নিই। আমার দখলে থাকা সেই জায়গাতে আওয়ামী লীগ নেত্রী সাদিয়া মকসুদ চৌধুরী জোরপূর্বক দেখলে নেয়। স্বৈরশাসকের প্রভাব বিস্তাকারী এই নেত্রী তখন ফেসবুক লাইভে এসে আমার নামে মিথ্যা, বানোয়াটা অপপ্রচার ও তথ্য সন্ত্রাস চালাতে থাকে। আমি এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে আদালত স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। মিথ্যা অপপ্রচারে সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করি।
তিনি বলেন, আদালতের স্থিতিবস্থা বজায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ নেত্রী সাদিয়া মকসুদ চৌধুরী গত ৭ জুন দুপুর একটায় আমার তফসিলভুক্ত জায়গা দখলে যায়। খবর পেয়ে আমি স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হলে ওই মহিলা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। তখন ওই মহিলা আমার সাথে কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়। এ সময় তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এসব ভিডিও করে। পরে সেটা এডিট করে, ডাবিং করে ভয়েস যুক্ত করে নিউজ অব চকবাজার নামে ভুয়া আইডিতে আপলোড করে। সেখানে আমি মহিলাটিকে মারধর করছি বলে প্রচার করে। শুধু তাই নয়, জুনের সেই ঘটনাকে অক্টোবরের ঘটনা বলে প্রচার করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে নগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি নাছির উদ্দীন চৌধুরী নাছিম, সাবেক সহ অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক মিন্টু, বাকলিয়া থানা যুবদলের সাবেক আহŸায়ক ইসমাইল হোসেন লেদু, কোতোয়ালী থানা যুবদলের সদস্য সচিব মো. হাসান, চকবাজার থানা যুবদলের সাবেক আহŸায়ক মো. সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।