ঈদগাঁও প্রতিনিধি
কথিত অপহরণ মামলার ২ দিনের মধ্যে অবশেষে অপহৃত যুবকের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলের নিকটত্মীয় আব্দুর রহমানের ঘর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে চকরিয়া থানার এসআই মো. আবুল খায়ের।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা মামলাটিকে ‘সাজানো’নাটক আখ্যায়িত করে এর অবসান চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, গত ৬ এপ্রিল রাতে উপজেলার খুটাখালীতে সম্পত্তির বিরোধে একই এলাকার রাশেদুল ইসলামের সাথে জিয়াউদ্দিন কাজলের বাকবিতন্ডা ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে কাজলকে অপহরণ ও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল লুটের অভিযোগ তুলে গত বুধবার চকরিয়া থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন কাজলের স্ত্রী নুসরাত জাহান রিফা। পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার রাশেদুলের বড় বোন বাদী হয়ে চিহ্নিত ৪ জনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নুসরাত জাহান রিফার করা মামলাটি সাজানো এবয় মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বেশ ক’জন নিরীহ লোকজনকে। আসামিদের দাবি- সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে। মারামারি করে উল্টো কাজলের পরিবার অপহরণ নাটক সাজিয়েছে।
তবে, মামলার বাদি রাফির পরিবার তাদের দায়ের করা মামলা সাজানো নয় বলে জানান।
দুই পক্ষের করা মামলা দু’টোর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আবুল খায়ের গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি স্থানীয়দের সহায়তায় খুটাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন আবদুর রহমানের ঘর থেকে মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেন। পরে তিনি খুটাখালী হাফেজখানা সড়কের মোড়স্থ ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত লোকজন ও ইজিবাইক চালকদের সাথে কথা বলেন।
স্থানীয়রা জানান, ঐ দিনরাতে কাজলের পরিবারের লোকজন মারামারি শেষে কাজলকে ইজিবাইক চালক মান্নানের গাড়িতে করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত রাশেদুলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। জায়গা-জমির বিরোধ নিয়ে মূলত তারা মারামারি করেছে। পরে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আবুল খায়ের মোটরসাইকেল উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়েছি। উপস্থিত লোকজন ও স্বাক্ষীদের সাথে এমনকি ইজিবাইক চালকের সাথে কথা বলেছি। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত বলা যাচ্ছে না।