আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি (সোমবার) শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন। তার আগের দিন রোববার ওয়াশিংটনে প্রচার চালানোর ধাঁচে বিজয় মিছিল করতে চলেছেন তিনি। ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ নামের এ বিজয় মিছিল যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে ক্যাপিটাল ওয়ান এরিনায়। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের সমর্থকদের দাঙ্গার ঘটনার পর ওয়াশিংটনে এবারই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখতে চলেছেন তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুর দিকে ট্রাম্প কী কী করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তার একটি পূর্বাভাস পাওয়া যেতে পারে মিছিলে দেওয়া ভাষণ এবং সোমবারের উদ্বোধনী ভাষণে। ট্রম্পের সঙ্গে এই মিছিলে আছেন তার ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন হয়ে ওঠা বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। তিনিও বক্তব্য রাখবেন। এছাড়াও, ভাবি ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স, আলটিমেট ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশীপের সিইও ডানা হোয়াইটসহ আরও অনেকের বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। মিছিলে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে টিকটক সিইও-সহ গায়কদের।
সোমবার ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী দুপুরে শুরু হবে। তবে শপথ গ্রহণের ঐতিহ্যবাহী এই অনুষ্ঠানে এবার কিছু ভিন্নতা দেখা যবে। আগের বছরগুলোতে ক্যাপিটল হিলের পশ্চিম লনে শপথ অনুষ্ঠান হয়ে আসলেও এবার সেটি হবে ক্যাপিটল রোটুন্ডায়। প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে অনুষ্ঠানটি ইনডোরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নতুন প্রেসিডেন্টের শপথবাক্য পাঠ করান। প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস এবার দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্পকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। শপথ শেষে নতুন প্রেসিডেন্ট ভাষণে তার আগামী চার বছরের পরিকল্পনা তুলে ধরবেন। একই দিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেডি ভ্যান্সও শপথ নেবেন।
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রযুক্তি জগতের বেশ কয়েকজন শীর্ষ ব্যক্তিত্বরা। যেমন- ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস এবং মার্ক জাকারবার্গ। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। যদিও ২০২০ সালে বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলেন না ট্রাম্প। অতিথিদের মধ্যে আরও থাকবেন সব সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টরা। যেমন: বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদেরকে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। কিন্তু ট্রাম্প রীতি ভেঙেছেন। তার শপথ অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন বিশ্ব নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ট্রাম্পের অনুষ্ঠান ইনডোরে সরিয়ে নেওয়ার আগে থেকেই এতে অংশ নেওয়ার জন্য ২ লাখ ২০ হাজারের বেশি টিকিট বিতরণ করা হয়েছে। আর যারা টিকিট পাননি তারা এবং ট্রাম্পের ২০ হাজার সমর্থক ন্যাশনাল মল থেকে বিশালাকারের ভিডিও স্ক্রিনে শপথ অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন। অনুষ্ঠান শেষে ক্যাপিটল হিল থেকে পেনসিলভানিয়া অ্যাভিনিউ দিয়ে হোয়াইট হাউজে যাবেন ট্রাম্প। এ সময় মানুষজন ট্রাম্পকে একনজর দেখতে পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।