গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করা বন্ধ করতে ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশকে আরও বেশিকিছু করার আহবান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান। সেক্ষেত্রে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো বা দেশটিকে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার মতো পদক্ষেপও নেওয়ার কথা ভাবার পরামর্শ দেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার উপসাগরীয় দেশগুলোতে আঞ্চলিক সফর শেষে ফেরার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক হিসাবে আমরা যুদ্ধবিরতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাস যুদ্ধবিরতি মেনে চলছে। তারা প্রকাশ্যেই যুদ্ধবিরতি মেনে চলায় তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছে। কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশিকিছু করতে হবে, যাতে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়। খবর বিডিনিউজের
পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর সদস্য তুরস্ক গাজায় ইসরায়েলি হামলার অন্যতম কঠোর সমালোচক। যুদ্ধবিরতির আলোচনায়ও তুরস্ক অংশ নিয়েছে। গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ওয়াশিংটনে এরদোয়ানের বৈঠকের পর যুদ্ধবিরতি আলোচনায় তুরস্কের ভূমিকা জোরাল হয়। আঙ্কারা বলেছে, তুরস্ক যুদ্ধবিরতির বাস্তাবায়ন তদারকির জন্য প্রস্তাবিত ‘টাস্কফোর্স’- এ যোগ দেবে। প্রয়োজনে তুর্কি বাহিনী সেখানে সামরিক বা বেসামরিক ভূমিকাও পালন করতে পারে। গাজা পুনর্গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখারও অঙ্গীকার করেছে তুরস্ক। তবে গাজায় তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও ভূমিকার বিরোধী ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত বুধবারই সে ইঙ্গিত নেতানিয়াহু দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এরদোয়ান স্বাভাবিক সময়ের মতো ইসরায়েলি নেতার সমালোচনা না করে বলেন, গাজায় কাজ করা টাস্কফোর্স নিয়ে আলোচনা চলছে, এর কাঠামো এখনও নির্ধারিত হয়নি। এটি বহুমুখী বিষয়, তাই বিস্তারিত আলোচনা চলছে। আমরা এ বিষয়ে গাজাকে যে কোনওভাবে সহায়তা করতে প্রস্তুত।











