নিজস্ব প্রতিবেদক
চকরিয়া বরইতলী পহরচাঁদা হাফালিয়া কাটা মোরা পাড়ার বাসিন্দা বেলাল উদ্দিন ওরফে জঙ্গি বেলাল ও তার পুত্র মোয়াজ বিন তালহা ওরফে বিচ্ছু তালহা দিন দুপুরে একই এলাকার আব্দুল গফুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে তাকে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সরেজমিন ঘুরে তার হাতে দা- এর কোপসহ শরীরের বিভিন্ন আঘাত দেখা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বিগত ৫ জানুয়ারি দুপুর ১ টায়। এ ব্যাপারে একই মাসের ৯ তারিখ জখম আবদুল গফুরের বড় ছেলে লায়ন মোঃ ওসমান সরওয়ার বাদি হয়ে হয়ে চকরিয়া থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
এই ঘটনায় থানা পুলিশ বেলালকে গ্রেফতার করতে গেলে তার কোমরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানায়, জঙ্গ বেলালের অত্যাচার ও নির্যাতনে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই মানুষকে মারধর করা, অন্যায় অত্যাচার করা বেলালের নেশা ছিল। প্রকাশ্যে আবদুল মজিদকে গুলি করে কারাগারে যায়। কারাগার থেকে বের হয়ে নিজ মা-বাবাকে মারধর করে মারাত্মক জখম করে। তখন তার বাবা নিজেই মামলা করে আবারও কারাগারে পাঠান এবং ত্যাজ্যপুত্র করার ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে কাগজে কলমে ত্যাজ্য না করলেও তার থেকে দূরে থেকেই তার বাবা-মা দু’জনেই মৃত্যুবরণ করেন। ভাই-বোন অনেকজনকে মেরে বিভিন্ন সময় মারাত্মক জখম করার মতো তথ্য পাওয়া যায়। গত কিছুদিন আগেও আপন চাচাতো বোন মোহছেনারা বেগম প্রকাশ মছুকে মেরে হাত ভেঙে দেন এবং তার স্বামীকে মেরে মাথাফাটা জখম করেন। মামলা করলে জানে মেরে ফেলবে এমন হুমকিতে তারা মামলা না করে চুপ হয়ে যায়। তাছাড়া স্থানীয় নেজাম উদ্দিনের জীবন্ত গরু কেটে ফেলেছে বলেও প্রতিবেদককে জানান। আরেক হতদ্ররিদ্র মোবারকের স্ত্রী ও নুরুল হোসেনের মাকে দিন-দুপুরে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তাছাড়া কিছুদিন আগে এক সাংবাদিককে হত্যার জন্য প্রকাশ্যে কিরিচ নিয়ে ধাওয়া করলে সাংবাদিক পালিয়ে গিয়ে নিজেকে রক্ষা করে চকরিয়া থানায় জিডি করে।
জানা যায়, সামাজিক বনায়ন, দলবল নিয়ে রিজার্ভ পাহাড়ের গাছ কেটে খাওয়া ও মানুষকে অন্যায়ভাবে নির্যাতন করে টাকা ইনকাম করাই তার পেশা। সে এলাকায় মুরগি ফার্ম সহ নানা স্থানে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েও টাকা ইনকাম করে থাকে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ এর বারবাকিয়ার সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, বেলাল উদ্দিন একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তার নামে বনের দুটি মামলা রয়েছে। তিনি আরো জানান, আমাদের বিট কর্মকর্তাকে মারধর ও হুমকি দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে থানায় জিডিসহ অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পুরাতন দুটি মামলাও রয়েছে যেগুলো বর্তমান গ্রেফতারি পারোয়ানা জারি রয়েছে কিন্তু পিতার নাম সঠিক নাম না থাকায় সে গ্রেফতার হচ্ছে না। আমরা মামলা দুটিও দ্রুত পিতার নাম সংশোধনীতে পাঠিয়েছি।
এ ব্যাপারে বর্তমান রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.খালেকুজ্জামান জানান, আমি নতুন এসেছি সব খবরাখবর নিয়ে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বেলালকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ওসি বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি শীগ্রই তাকে দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।