সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ময়লা-আবর্জনা বিনে না ফেলে দোকানের সামনে যত্রতত্র ফেলে রাখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা পচনশীল ভাত, মাছ, ডিম ইত্যাদি এবং অপচনশীল পলিথিন, প্লাস্টিক বর্জ্য আলাদা করার পরিকল্পনা করছি। এসব বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, জৈবসার এবং বায়োগ্যাস উৎপাদন সম্ভব। এতে বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে এবং যত্রতত্র বর্জ্য ফেলার প্রবণতা কমবে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আন্দরকিল্লা থেকে সাব এরিয়ার ব্যবসায়ীদের মাঝে বর্জ্য সংগ্রহে সিটি করপোরেশনের পক্ষে বিন বিতরণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা।
তিনি বলেন, নগরীর বাজার ও দোকানের সামনে ছোট ডাস্টবিন স্থাপন করা হচ্ছে। পথচারীদেরও খোলা জায়গায় ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সাধারণ জনগণের জন্য চসিকের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা আরেকটি পরিকল্পনা করছি, ডোর টু ডোর যে ময়লা তা নিয়ে। চট্টগ্রাম শহরের ৪১ ওয়ার্ডের টিমকে দিয়ে দিব। তারা আবর্জনা বাসা থেকে নিয়ে আসবে। এ ধরনের একটি টিম আমরা প্রস্তুত করছি। এতে ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে এ সিদ্ধান্তটা সুন্দরভাবে ইমপ্লিমেন্ট করতে পারবে। এ ধরনের বিভিন্ন পদক্ষেপে আমি এগোচ্ছি। আমরা চট্টগ্রামের সব সংস্থাগুলো সমন্বয় করে কাজ করছি। আশা করছি, আমাদের এ সমন্বয়টা থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি হাজী মো. আলী, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মান্নান, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, বিএনপি নেতা আবুল কালাম, জামাল উদ্দিন, ফতে আলী, হাফিজুর রহমান মিলন, আবুল হাশেম, শফিকুল ইসলাম, মো. মহিউদ্দিন, মো. আরজু প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি