পটিয়া প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি ও হামলা, ভাঙচুর, বিস্ফোরক এবং হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত বাংলাদেশ মেম্বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হাশেম (৪৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনার পর তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে শোন এরেস্ট দেখানোর আবেদন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক বেগম তাররাহুম আহমেদ আসামি হাসেমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুনরায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আদালতের জিআরও।
এর আগে, গত ২৩ অক্টোবর পটিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শফিক উল্লাহ পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেছিলেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে সাতটার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানাধীন শের শাহ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ নেতা হাশেমকে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশের বিশেষ টিম। আওয়ামী লীগ নেতা হাশেম পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের মৃত এজহার মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় তিনটি বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে। হাশেম পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের বিতর্কিত সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছোট ভাই। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাশেম নিজেকে জনরোষ থেকে বাঁচাতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। এরপর ঘটনাটি সবখানে জানাজানি হওয়ার পর দুই দিনের মাথায় তাকে ঐ পদ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বিতর্কিত সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও তার ভাই ছেলেসহ তার পরিবারের সদস্যদের অত্যাচার নির্যাতনে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও এলাকায় একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর অভিযোগ আসছিল। তাদের পরিবারের সবার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা থাকার পরও পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ বিএনপি-জামায়াত ও এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টা মামলায় মেম্বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হাশেমকে শোন এরেস্ট দেখানো হয়েছে। সে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় আরও দু’টি মামলা রয়েছে।










