মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স

2

গত ১৭ মে আদালতের সম্মেলন কক্ষে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মো. সোয়েব উদ্দীন খান, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল, মো. আবু বকর সিদ্দিক, মো. আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ মোস্তফা, এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ ও নুসরাত জাহান জিনিয়া। তাছাড়া অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, চমেক পরিচালকের প্রতিনিধি ডা. জুনায়েদ আহমেদ, ফরেনসিক মেডিসিনের চিকিৎসক খালেদ হাসান, মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মফিজুল হক ভূইয়াসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কনফারেন্সের শুরুতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে সব প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলো দূর করতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে নির্দেশ দেন। তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) তদন্ত করার সময় বিভিন্ন মামলার আলামত যথাযথভাবে জব্দ করার জন্যেও নির্দেশ দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আরও প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। দ্রæত ও দক্ষতার সঙ্গে প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিত করে তাদের নিরাপত্তা দিতেও সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন তিনি। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান তার সমাপনী বক্তব্যে অর্থ ঋণ আদালত ও পারিবারিক আদালতের ওয়ারেন্ট দ্রুততম সময়ের মধ্যে তামিল করার গুরুত্ব আরোপ করেন। কনফারেন্সে আগত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালকের প্রতিনিধি জানান, এখন থেকে রেকর্ড দেখে মেডিক্যাল সনদ দেওয়া হবে এবং ডাক্তার সাক্ষীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য একজন ফোকাল পার্সন নিয়োগ করা হবে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা প্রতিরোধমূলক। তাই ৫৪ ধারার ব্যবহার কম করতে হবে। রিমান্ড শুনানির সময় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি