নিজস্ব প্রতিবেদক
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নগরীর মুরাদপুরে গুলিতে ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী মো. ফারুক (৩২) নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আবুল হাসেম সুমন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তবে আসামি সুমন নয় বছর আগে ২০১৫ সালে মারা গেছেন বলে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর ছেলে মেহেদী হাসান আকাশ। মামলার পর থেকে পুলিশ মৃত সুমনের পরিবারকে হেনস্তা করছে বলেও অভিযোগে দাবি করা হয়েছে। আদালত এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে নগরীর মুরাদপুর ও আশপাশের এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে গুলিতে নিহত হন ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী মো. ফারুক। এ ঘটনায় ২৮ আগস্ট নিহত ফারুকের বাবা মো. দুলাল বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত ১৯৩নং আসামি করা হয় নয় বছর আগে ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়া আবুল হাসেম সুমনকে। একই মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, রাউজানের সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীসহ দুইশ’ ৬৯ জনকে আসামি করা হয়। পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহত মো. ফারুক নগরীর শুলকবহরে একটি ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী ছিলেন। ওইদিন বিকেল তিনটার দিকে দোকান থেকে বেরিয়ে তিনি বহদ্দারহাটে ভাত খাওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন তিনি। মাঝপথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ফারুক।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আখতারুজ্জামান বলেন, বাদী নিজেই মামলার এজাহারে আসামিদের নাম দিয়েছেন। আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন। আদালতের আদেশ ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই মামলার তদন্ত হবে। হত্যাকান্ডে কে বা কারা জড়িত সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। পুলিশ অহেতুক কারও বাসায় গিয়ে পরিবারকে হেনস্তা করার প্রশ্নই আসে না।