মুমিন জীবনে সফল হতে ৭ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে

5

মুমিন জীবনে সফল হতে হলে কোরআন হাদিসে বর্ণিত ৭ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের প্যারেড মাঠে ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত ৫ দিনব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহ্ফিলের চতুর্থ দিনের প্রধান মুফাসসিরের আলোচনায় তিনি এই কথা জানান।
ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা খাইরুল বাশার ও মাহ্ফিল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মুহাম্মদ উল্লাহ’র সঞ্চালনায় এবং ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহ্ফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, মাহ্ফিল কমিটির পৃষ্ঠপোষক ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আবু বকর রফিক, সংগঠক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। আলোচনা করেন বন্দরটিলাস্থ আলী শাহ জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মহিউদ্দিন মাহবুব।
মুফতি আমির হামজা বলেন, পৃথিবীর সূচনা থেকে মানুষ ও শয়তানের মধ্যে দ্ব›দ্ব। এই দ্ব›দ্ব নিরসনের জন্য যুগে যুগে আল্লাহ নবী ও রাসুলদের (স.) পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তার বান্দা-বান্দিদেরকে সঠিক পথে নিয়ে আসার জন্য। পৃথিবীর শুরু থেকে মুমিন জীবনের যে সাত দফা কর্মসূচি আছে তা কিয়ামত পর্যন্ত চলবে। তার পাশাপাশি শয়তানেরও সাত দফা কর্মসূচি আছে। কোরআন হাদিস থেকেও শয়তানের সাত দফা কর্মসূচি সম্পর্কে পেয়েছি। এই সাত দফা বাস্তবায়নে শয়তান কিয়ামত পর্যন্ত প্রচেষ্টা চালাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলমানদের নিয়ে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে আমাদের দরকার ঐক্যবদ্ধ শক্তি।
বিশেষ অতিথি চসিকের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে রাষ্ট্র, সমাজকে নৈতিকভাবে গড়ে তুলতে হবে। জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে এবং মিথ্যা গায়েবি মামলার মধ্যমে গত ১৬ বছরে আলেম সমাজকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে। জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আল্লামা সাঈদী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, আব্দুল কাদের মোল্লা, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ নেতাদেরকে হত্যা করেছে।
বিশেষ অতিথি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, মানবতার সেবা, সমাজসেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো মানবতার বন্ধু সর্বকালের সেরা মানব মুহাম্মদ (সা.)। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আমাদের চট্টগ্রামের আবেগ। তিনি জুলুমের কারাগারে বন্দির আগ পর্যন্ত কুরআনের তাফসির মাহ্ফিলের মাধ্যমে দাওয়াতী কাজ করেছেন।
মাহ্ফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ জাফর সাদেক, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, মাওলানা এবিএম ছিদ্দিকুল্লাহ, অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, অ্যাড. শামসুদ্দিন মির্জা, ইঞ্জিনিয়ার মুমিনুল হক, অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী, মাওলানা ছিদ্দিক ফারুকী, আলাউদ্দীন শিকদার, প্রফেসর মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দৌলা, সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, এসএম লুৎফর রহমান, অ্যাড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সেলিমউল্লাহ জামান, মো. ইসহাক, ড. আবু হানিফা মোহাম্মদ নোমান, মাওলানা আব্দুল হালিম, মাওলানা মিনহাজুল ইসলাম, মাওলানা ছিদ্দিক ফারুকী, মাওলানা ছলিম উল্লাহ হাবিবি, মাওলানা মাহফুজুর রহমান মিনহাজ, মুহাদ্দিস জিয়াউল হুসাইন, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ, মাওলানা শহীদুল্লাহ, মাওলানা নাঈমুল্লাহ, মাওলানা ইমরানুল হক সায়িদ, মাওলানা তৈয়ব আলী মজিদি, মাওলানা মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মাওলানা মিয়া মুহাম্মদ শরীফ হোসাইন প্রমুখ।
মাহ্ফিলে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন তাফহীমুল ইসলাম, পাঞ্জেরির তাহমিদুল ইসলাম ও পারাবার শিল্পীগোষ্ঠী। বিজ্ঞপ্তি