মুক্তিযুদ্ধে কুসুমপুরী, হাবিলদার আবু

1

নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

পটিয়ার এমপিএ সুলতান আহমদ কুসুমপুরী ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক। ’৭১-এর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু করার আহবান জানালে দেশব্যাপী সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের দামামা বেজে উঠলে প্রৌঢ় বয়সেও সুলতান আহমদ কুসুমপুরীর সৈনিকের রক্ত নেচে উঠেছিল। তিনি নিয়মিত সৈনিকের ন্যায় যুদ্ধ শুরু করার প্রস্তুতি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন দোহাজারীর পূর্বদিকে একটি দুর্গম জায়গা ধোপাছড়িতে। তিনি সেখানে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইপিআরের সৈন্যদের জড়ো করে একটি ক্যাম্প খুলে তাদের নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। পটিয়া থানার (বর্তমানে চন্দনাইশ) গ্রামের হাবিলদার আবুল ইসলাম বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইপিআরের একটি বাহিনী নিয়ে ধোপাছড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। সুলতান কুসুমপুরী হাবিলদার আবুকে তাঁর কোম্পানি কমান্ডার নিযুক্ত করে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। নিজেও সামনে থেকে অস্ত্র হাতে লড়াই করেছিলেন। সুলতান আহমদ কুসুমপুরী ও হাবিলদার আবুল ইসলামের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গতকাল আমি এক প্রস্থ লেখা পূর্বদেশে প্রকাশ করেছিলাম। গতকালের লেখায় হাবিলদার আবুল ইসলামের পার্বত্য চট্টগ্রামের যুদ্ধে যোগদানের পূর্বে পটিয়া, সাতকানিয়া ও আনোয়ারায় তিনি যে অপারেশন করেছেন, তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
এক রাজাকার কমান্ডার, তার নাম আবদুল হাকিম আনোয়ারায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। বাড়ি ছিলো ওষখাইন। সে মানুষের ঘরবাড়িতে হানা দিয়ে লুটপাট চালাত, মারধর করতো। সংখ্যালঘুদের ওপর তার অত্যাচারের মাত্রা ছিল বেশি। মা বোনদের ওপর নির্যাতন করতো, বাড়িঘরে তল্লাশি চালিয়ে সোনাদানা নগদ টাকা-পয়সা যা পেতো, লুট করে নিতো, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিতো। পাকিস্তানি সৈন্যদের ডেকে এনে হত্যাকান্ড চালাতে প্ররোচিত করতো। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে সে এত কুখ্যাতি অর্জন, করেছিলো যে, স্থানীয় দালালরা তাকে টিক্কা খান খেতাব দিয়েছিল। এমনি পরিস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধারা সিদ্ধান্ত নিলেন তথাকথিত টিক্কা খানকে খতম করে রাজাকারদের মনোবল ভেঙ্গে দিতে হবে। খতম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব বর্তায় হাবিলদার আবুর ওপর। তিনি একটি গ্রুপ নিয়ে একদিন টিক্কা খানের বাড়ি ঘেরাও করেন। কৌশলগত অবস্থানের দিক থেকে তার বাড়িটি বেশ ভাল অবস্থানেই ছিল। অপারেশনের রাতে টিক্কা খানের বাড়ির কাছাকাছি একটি হিন্দু বাড়িতে আবু তার গ্রুপ নিয়ে আশ্রয় নেন। পরদিন বরকল খাল দিয়ে নৌকা নিয়ে লক্ষ্যস্থলের নিকট পাড়ে ওঠে তিনদিক দিয়ে হাকিমের বাড়ি ঘেরাও করলেন। খোলা জায়গা হওয়ায় হাকিম তাদের দেখতে পায় এবং আত্মরক্ষামূলক অবস্থান নেয়। আবু তাঁকে সারেন্ডার করার নির্দেশ দিলে সে আবুকে লক্ষ্য করে পর পর তিন রাউন্ড রিভলভারের গুলি ছোঁড়ে। হাবিলদার আবু একটি গাছের আড়ালে পজিশন নিয়েছিলেন বলে রক্ষা পান। পরে আবদুল হাকিম পুকুরে নেমে ডুব দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে। গুলি করলে কখনো সে ডুব দিয়ে সরে যায়, আবার কখনো সাঁতরে অন্যদিকে চলে যায়। এক সময় সে নেতিয়ে পড়ে এবং তাঁদের গুলিতে তার ভবলীলা সাঙ্গ হয়। এই অপারেশনে আরো দু’তিনজন রাজাকার মারা যায়। টিক্কা খানের অপারেশনে হাবিলদার আবুর সাথে তাঁর গ্রুপের সেনাবাহিনীর দু’তিনজন সদস্য এবং বিএলএফের নাসিরুদ্দিন চৌধুরী ছিলেন।
টিক্কা খান অপারেশন শেষ করে বাড়িতে ফিরে আসলে আবু খবর পান তাঁকে সুলতান আহমদ কুসুমপুরী ধোপাছড়ি যাবার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কুসুমপুরী সাহেব পটিয়ার এমপিএ। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিনি দোহাজারীর পূর্বে ধোপাছড়ি গিয়ে ক্যাম্প করে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁর কথা অমান্য করা যায় না। তাই আবু জব্বার, কাসেম, আইয়ুব, নওশা, সালামসহ ১৭ জনকে নিয়ে ধোপাছড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথে জোয়ারা মুন্সেফ বাজারে একজন রাজাকারকে শায়েস্তা করেন। ধোপাছড়ি পৌঁছার পর সুলতান আহমদ কুসুমপুরী মুক্তিযোদ্ধাদেরকে তিনটি প্লাটুনে ভাগ করে হাবিলদার আবুকে কোম্পানি কমান্ডার নিযুক্ত করেন। একদিন জোহরের সময় তাদের ক্যাম্পে পাকবাহিনী আক্রমণ করে। বান্দরবান হয়ে শঙ্খনদীর ওপাড় থেকে তারা আসে। মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ করেন। নদীর পাড়ে ধোপাছড়ি বাজারে যারা ছিলেন তারা পশ্চিম দিকে পালিয়ে যায়। হাবিলদার আবু ছিলেন গুণু মিয়ার পাহাড়ে। আক্রমণের পর তিনি ফরেস্ট অফিসে গিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেন। আধঘণ্টা যুদ্ধ চলে। মর্টারের শেলিং শুরু হলে আবু গ্রুপ নিয়ে পশ্চিম দিকের পাহাড়ে চলে যান। এই যুদ্ধে তার দুজন সহযোদ্ধা শহীদ হন। ধোপাছড়ির উত্তরে যে প্লাটুন ছিলো, তারা তাদের সাহায্যে অগ্রসর হয়। কিন্তু তারা পৌঁছার পূর্বেই আবুদেরকে উইথড্র করতে হয়। উত্তর হাশিমপুরের নাসির চৌধুরীর পিতা আবদুল জলিল চৌধুরী তাদেরকে যথেষ্ট সাহায্য করেন।
এরপর তারা সুলতান আহমদ কুসুমপুরীসহ রাঙ্গুনিয়ার পূর্বদিকে শিলক খাল হয়ে পাহাড়ের দিকে যান। পথিমধ্যে একটি গ্রাম ছাড়িয়ে যাবার পর একটি ক্যাম্প দেখতে পান। সেখানে তখন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। আবু সবাইকে রোল কল করে রাতে সতর্ক থাকতে বললেন। সেখানে সুবেদার মেজর টি এম আলীর গ্রুপ তাদের সাথে মিলিত হয়। ভোরে আজানের সময় পাক বাহিনী তাদের উপর আক্রমণ করে, ত্রিমুখী আক্রমণ। সুবেদার মেজর টি এম আলী ও সাতকানিয়ার নায়েক ফয়েজসহ ৭/৮ জন এই যুদ্ধে শহীদ হন। কে কোনদিকে পালিয়ে গেছে কেউ জানে না। এরপর হাবিলদার আবু গ্রুপ নিয়ে নয়া পতং ক্যাম্প বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে এক জায়গায় ধান মাড়ান। আবু স্টেন হাতে নিয়ে বের হলে পাকিস্তানিরা তাকে হল্ট ও হ্যান্ডস আপ বলে। আবু সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা ঘুরে ব্রাশ ফায়ার করেন। সেখানে তিনজন পাকিস্তানি নিহত হয়। আবু দক্ষিণ দিকে ধান ক্ষেতে লাফিয়ে পড়েন। জঙ্গলের দিকে যাওয়ার সময় তিনি দুজন সহযোদ্ধাকে পান। তাদেরকে নিয়ে পাহাড়ে ওঠার সময় সামনে থেকে আবার তাকে চ্যালেঞ্জ করে হ্যান্ডস আপ করার জন্য বলা হয়। গলা শুনে বুঝতে পারেন তার ভাই আইয়ুব। তিনি বলেন আইয়ুব নাকি, সে বলল হ্যাঁ। তখন তারা চারজন পূর্বদিকে একটি পাহাড়ে উঠে ক্যাম্প লক্ষ্য করে তিন চারজন ব্রাশ ফায়ার করেন। তারা পশ্চিম দিকে একটি ছড়া পার হয়ে উত্তর দিকে যান। সেখানে কয়েকটি দোকান দেখতে পান। পরে জানতে পারেন জায়গাটির নাম বাঘমারা বাজার। একটি চায়ের দোকান থেকে তিনজন বড়–য়া বের হয়ে তাদেরকে বলে, আপনারা তো মুক্তিযোদ্ধা মনে হয়। কিছুক্ষণ আগে পাকিস্তানিরা চার-পাঁচ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে নিয়ে গেছে। তারা আবুদেরকে উত্তর দিকে যেতে নিষেধ করে। কারণ সেখানে পাকিস্তানিদের ক্যাম্প রয়েছে। তারা বলল আপনারা ছড়া পার হয়ে পশ্চিমদিকে গেলে একটি পাহাড় পাবেন। সেই পাহাড়ের উপর উঠলে একটি বাজার দেখতে পাবেন। বাজারটির নাম কচ্ছপতলী বাজার। পাহাড়ে উঠার পর ছয়জন পাহাড়ি রাজাকারকে সারেন্ডার করান। বাজারে গিয়ে দোকানদারদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কোন জায়গার লোক। ওরা বললো খাগড়াছড়ির লোক। তাদের কাছ থেকে আবু জানতে পারেন মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গ্রæপ দক্ষিণ দিকে গেছে। কচ্ছপতলী বাজার থেকে পূর্বদিকে যাওয়ার সময় হেডম্যানের বাড়ি পান। সেখানে রোল কলে ৮৭ জনকে যোদ্ধাকে পাওয়া যায়; আবু যখন কানাইমাদারী তার বাড়ি থেকে ধোপাছড়ি যাচ্ছিলেন, তখন তার সঙ্গে ছিলো ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা।
হেডম্যানের বাড়িতে খেয়ে পূর্বদিকে যাওয়ার পথে হেডম্যানের দুই পুত্র, যারা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলো, তাদেরকে সারেন্ডার করান। এরপর একটি পাহাড়ি উপত্যকায় সুলতান কুসুমপুরীসহ তাদের ৩০/৩৫ জন লোককে খুঁজে পান। তাদের মধ্যে সাতকানিয়ার হাবিলদার কবির, বদুর পাড়ার আসহাব মিয়া, সাতবাড়িয়ার সুজায়েত আলী, আবদুল গফুর, আর বকর, ওয়াপদার কাসেম, বেঙ্গল রেজিমেন্টের নওশা মিয়া, ইসহাক মিয়া, আবদুল জব্বার ছিলেন। এদিকে খবর আসলো পাংখুপাড়ায় একটি মুক্তিযোদ্ধা গ্রæপ আছে। সেখানে আলী আকবর পাটোয়ারীর নেতৃত্বে ৬/৭ জন মুক্তিযোদ্ধা তাদের সাথে যোগ দেয়। সেখানে রাজাকারেরা তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তারা তাদের রসদপত্র দিলো এবং তাদেরকে ভারতীয় সীমান্তে যাওয়ার পথ দেখিয়ে দিলো। সীমান্তের ওপারে জারুয়ালছড়ি পৌঁছলেন। একজন ভারতীয় সুবেদার তাদের সংবর্ধনা দিল। ডিমাগিরি অয়ারলেস করে জেনারেল উবানকে জানানোর পর তিনি হেলিকপ্টারে করে সুলতান আহমদ কুসুমপুরীকে নিয়ে গেলেন। হাবিলাদার আবুরা ডিমাগিরিতে পৌঁছলেন।
ভুটান-১৫, ভুটান-১৭, ভুটান-১৯ কোম্পানী এবং আবুর কোম্পানি নিয়ে একটি দল গঠন করে তাদেরকে জালিয়ানপাড়া য²া বাজার, বরকল, শুভলং এলাকায় যুদ্ধের দায়িত্ব দেয়া হলো। তারা একটি কোম্পানি মাঝখানে নিয়ে ডিফেন্সে আবু, দুই পাশে তিন কোম্পানি এই হলো যুদ্ধের ফরমেশন। জেনারেল উবান তাকে কোম্পানি কমান্ডার নিযুক্ত করেন।
ভোরে যার যার কোম্পানি নিয়ে রওয়ানা দেন। দুই পাশ থেকে ভুটানী কোম্পানি আত্রমণ করার পর হাবিলদার আবুর কোম্পানি জালিয়ানপাড়া দখল করে নেয়। সেখানে শামসুদ্দিনের সাথে দেখা হয়। জালিয়ানপাড়া থেকে পরদিন য²াপাড়া আক্রমণ করলেন। এই আক্রমণে ভুটানি ১৫ কোম্পানির কিছু সৈন্য মারা যায়। য²াবাজার আবুদের দখলে আসে। হাবিলদার আবু পাহাড়ি লেক পার হয়ে বাংলাদেশের পতাকা তোলেন। ভুটানী ১৫ কোম্পানির অধিকাংশ সৈন্য মারা যায়।
বরকল থানার দক্ষিণ পাশে খুব উঁচু একটি পাহাড়। ঐ পাহাড়ে পাকিস্তানি সৈন্যদের রেশন গুদাম ছিল। ওপরে পাকিস্তাতানি সৈন্যরা আছে ধারণা করে আবুরা ভারতীয় বোমারু বিমান থেকে বোমা ফেলার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কোনো প্রত্যুত্তর না আসায় তারা চার্জ ভঙ্গিতে পাহাড়ে উঠে দেখতে পান, কেউ নাই । পাকিস্তানি সৈন্যরা আগেই পালিয়ে গেছে। রেশন গুদাম পেয়ে তাদের সুবিধা হলো এই যে, যাদের কম্বল ছিলো না, তারা কম্বল পেলো।
পাহাড় থেকে নেমে আবুরা যার যার অবস্থানে চলে আসেন। তারা পলাতক পাকিস্তানি সৈন্যদের খুুঁজতে থাকেন। য²াবাজারে এসে সেখান থেকে সুভলং আক্রমণ করেন। বরকল থানায় যাওয়ার পর রেডিওতে শুনতে পেলেন ঢাকায় নিয়াজি আত্মসমর্পণ করেছে। এ খবর শুনে তারা লঞ্চে করে রাঙামাটি যান। সেখানে শেখ ফজলুল হক মনির সাথে দেখা হয়। রাঙামাটি থেকে আবার লঞ্চে কাপ্তাই যান। তাদেরকে নেয়ার জন্য পটিয়ার এম এন এ অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও শোভনদন্ডীর প্রখ্যাত আওয়ামী লীগ নেতা খালেক চাচা একটি সুপরিসর কোচ ও ২টি কার পাঠান। তারা অস্ত্রশস্ত্র গাড়িতে উঠিয়ে চট্টগ্রাম কলেজে আসেন।
পরদিন সকালে মহসিন কলেজের মাঠে হাবিলদার আবু তার লোকজনকে ফল ইন করান এবং ক্যাপ্টেন এনাম এসে সবার পরিচয় লিপিবদ্ধ করে অস্ত্র জমা নেন। ক্যাপ্টেন এনাম আবুর গ্রুপের সদস্যদের স্পেশাল ফ্রন্ট ফাইটার উপাধি দেন এবং বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রত্যেককে দশ টাকা করে দেন। বাড়ি যাওয়ার পথে চন্দনাইশ মিজ্জির দোকানের সামনে স্থানীয় জনসাধারণ ব্যান্ডপার্টিসহ তাদেরকে অভ্যর্থনা জানিয়ে সংবর্ধনা দেয়।

লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক