মুক্তিপণ না পেয়ে ভাগ্নেকে হত্যা করলো মামা!

1

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ভাগ্নে মো. একরামকে (১৩) বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে অপহরণ করে মামা। এরপর মুক্তিপণ দাবি করে না পাওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
অভিযুক্ত মামা কামাল উদ্দিনকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যে সাতকানিয়ার কালিয়াইশের পাঠানিপুলের পূর্বপাশে গড়লা খাল পাড়ের বিল থেকে গতকাল বুধবার সকালে একরামের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাতকানিয়া সার্কেল) মো. তফিকুল আলম তা নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, একরাম উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গাক্যাম্পের জি-৩৭ ব্লকের মো. ইদ্রিসের ছেলে। এছাড়া অভিযুক্ত রোহিঙ্গা যুবক কামাল কুতুপালং রোহিঙ্গাক্যাম্পের বি-১০ ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া ইউনিয়নে একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। অভিযুক্ত ও নিহত সম্পর্কে আপন মামা-ভাগ্নে বলে জানা গেছে।
একরামের বড় চাচা মো. ইউনুস বলেন, আমার ছোটভাই ইদ্রিস উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গাক্যাম্পে পরিবার নিয়ে বাস করে। গত ৩ এপ্রিল ভাইয়ের শ্যালক কামাল একরামকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সাতকানিয়ায় নিয়ে যায়। পরে কামাল তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ইদ্রিসের কাছে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ দাবি করে। ইদ্রিস মুক্তিপণ দিতে রাজি হয়নি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে একরামকে পাওয়া যায়নি। ১৪ এপ্রিল রাতে ইদ্রিস বাদী হয়ে উখিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে উখিয়া থানা পুলিশ কামালকে একই রাতে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন কামাল মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় একরামকে খুন করেছে বলে স্বীকার করে। পরে কামালের দেখানো সাতকানিয়ার একটি বিল থেকে একরামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, অপহরণের সাথে জড়িত কামাল উদ্দিনকে গত ১৩ এপ্রিল সাতকানিয়ার নয়াখাল এলাকার একটি ইটভাটা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে উখিয়া ও সাতকানিয়া থানা পুলিশ পাঠানিপুল এলাকা থেকে কিশোরটির লাশ উদ্ধার করে। সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলমসহ আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। লাশ উদ্ধারের পর উখিয়া থানা পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়েছে।