মুক্তচিন্তার উন্মেষ ঘটাতে বইয়ের বিকল্প নেই

1

মিতা পোদ্দার

অবসরে হোক আলোর দ্বার উন্মোচনের যাত্রা। অবসরে বই পড়া একজন পাঠক বইকে তার অবসর বন্ধু বানিয়ে নিলে চিন্তাশীলতা বেড়ে যাবে। বই অনন্ত যৌবনা। হতাশা কাটিয়ে তুলতে পারে একটি প্রেরনামূলক বই ।বই মানুষকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে। জীবন চলার পথ দেখায়। বই পড়ার অভ্যাস গড়তে পারলে জীবন হয় সুন্দর ও সমৃদ্ধ। কথিত হয়ে থাকে যে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। নিজেকে পরিপাটি ভাবতে চাইলে বিশ্বকে জানতে হবে। আর বিশ্বকে জানতে হলে নইয়ের ছোঁয়া চাই। অযথা সময় না কাটিয়ে আমরা যদি বইয়ের সাথে সংযোগ স্থাপন করি তবে আমাদের শারীরিক, মানসিক সবটাই সুস্থ থাকবে।বই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এবং মনোযোগ দুটোই বৃদ্ধি করে।বই পড়ার অভ্যাস গড়তে হলে বইয়ের সঙ্গে থাকা প্রয়োজন।যেকোনো অভ্যাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হুট করে এক দিনে অভ্যাস গড়ে উঠবে না। বই পড়ার ক্ষেত্রেও তাই। একটি বই পড়া শেষ হলে আরেকটি শুরু করতে হবে।
বর্তমানে মানুষের দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত হয় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসকে কেন্দ্র করে। মোবাইল ফোন ছাড়া একটা দিন মানুষ কল্পনাও করতে পারে না।নেশার মতো এসব ডিভাইসের সঙ্গে আজকাল সবাই লেগে আছে। শিশু, তরুণ, বৃদ্ধ-কেউ এর বাইরে নয়। মানুষ অনলাইন জগতের বাইরে খুব কম সময় কাটায়। ফলে বইপ্রেমীরাও এখন বই পড়ার অভ্যাস প্রায় ভুলতে বসেছে। তাই যতই দিন যাচ্ছে, মানুষের মস্তিষ্ক অকেজো হয়ে পড়ছে। মানুষের চিন্তার বিকাশ ঘটছে না; মুক্তচিন্তার দুয়ার যেন আজ বন্ধ।মোবাইলবন্দি এ জীবন থেকে মুক্তির অন্যতম প্রধান উপায় বই পড়া। হোক তা গল্প, উপন্যাস, কবিতা বা অন্য যে কোনো লেখা। মানুষের মধ্যে সুপ্ত অবস্থায় থাকা অপার সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলার জন্যও বই পড়ার বিকল্প নেই। বাঙালি জাতি আবার যেদিন বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবে, আশা করা যায় সেদিন এ জাতির মধ্যে লক্ষণীয় পরিবর্তন আসতে শুরু করবে এবং জাতির উন্নতি হবে। লেখক : প্রাবন্ধিক