মিরসরাইয়ে ঝর্ণায় নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

8

মিরসরাই প্রতিনিধি

ঢাকা থেকে ১৩ বন্ধুকে নিয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাতুর রহমান মজুমদার ঘুরতে আসেন মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণায়। গত মঙ্গলবার নিখোঁজ হন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে ঝর্ণার ক‚পে তার লাশ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার করে। নিহত সিফাতুর রহমান মজুমদার ঢাকার মিরপুর-১ এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। সে ইউনির্ভাসিটি অব ডেভলপমেন্ট অল্টারনেটিভের (ইউডা) চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী।
নিহত সিফাতুরের সাথে ঘুরতে আসা বন্ধুদের মধ্যে অনিক চন্দ্র মোহন্ত জানান, তারা মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় ঝর্ণায় যান। কিছুক্ষণ ঘুরেফিরে পাহাড়ের একটি স্থানে বন্ধুরা মিলে মদ-গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক সেবন করে। এরপর বিকেল ৩ টার দিকে সিফাতুর নিখোঁজ হন। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা খোঁজার পরও তার খোঁজ না মেলায় বিষয়টি তার পরিবারকে জানায় এবং পরে ওইদিন দিবাগত রাত ৮টার দিকে মিরসরাই থানা পুলিশের কাছে বিষয়টি জানায়। পরদিন বুধবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা ঝর্ণার কূপে-ঝোঁপঝাড়ে সবখানে উদ্ধার অভিযান চালান। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে সিফাতুরের লাশ ঝর্ণার কূপের পানিতে ভেসে উঠলে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
নিহত সিফাতুরের ভাই রিফাত উর রহমান মজুমদার ও মামাতো ভাই সোহাগ হাওলাদার দাবি করেন, সিফাতুরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী বলেন, গত বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝর্ণা এলাকায় ঝর্ণার প্রতিটি ধাপে খুঁজেও সিফাতের সন্ধান মেলেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল তল্লাশি শুরু করলে দুপুরের দিকে সিফাতের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।
মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সিফাতুরের লাশ ফুলে গেছে। মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। আপাতত এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।