মিরসরাইয়ে ঝর্ণায় ডুবে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

3

মিরসরাই প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের রূপসী ঝর্ণার ক‚পে নেমে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আসিফ উদ্দিন (২৪)। গতকাল রবিবার দুপুর ১২ টায় উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের রূপসী ঝর্ণায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আসিফ চট্টগ্রাম শহরের সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ী কামাল গেইট এলাকার সরওয়ার কামাল গোলাপের ছেলে। সে চট্টগ্রাম ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আসিফরা ৬ বন্ধু মিলে রবিবার সকালে চট্টগ্রাম শহর থেকে রূপসী ঝর্ণায় ঘুরতে যান। বেলা সাড়ে ১১ টায় ঝর্ণার কাছে যান তারা। বন্ধুদের সঙ্গে ঝর্ণায় হৈহুল্লোড়-আনন্দ করার একপর্যায়ে সবাই একসাথে ঝর্ণার ক‚পে লাফ দেয়। তাদের কেউ সাতার জানতো না। চার বন্ধু হাসান, মাহিন নিশাত, রাকিব ও মেহেদী হাসান ঝর্ণার ক‚প থেকে উঠতে পারলেও ডুবে যায় আসিফ। পরে তার অন্য বন্ধুরা অনেক খোঁজাখুঁঁজি করে সন্ধান না পেয়ে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে খবর দেয়। পরে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা দুপুর দেড়টার দিকে আসিফের মৃতদেহ উদ্ধার করে।নিহতের বন্ধু মেহেদী হাসান বলেন, ‘রুপসী ঝর্ণায় আমরা ৫ বন্ধু মিলে ঘুরতে আসি। ঝর্ণায় প্রবেশের পর বন্ধুরা ঝর্ণায় গোসল করার উদ্দেশ্যে সবাই মিলে কূপে লাফ দিই। কূপ থেকে সবাই উঠতে পারলেও আসিফ উঠতে পারেনি। আমরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁঁজি করেও না পেয়ে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে। মূহুর্তের মধ্যে আমার বন্ধুকে হারালাম। আমরা তার পরিবারকে কি বলে শান্তনা দেবো’।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উদ্ধারকারী টিমের লিডার শাহলঙ্গ মারমা বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে জানানো হয় ঝর্ণায় একজন পর্যটক নিখোঁজ হয়েছে। আমরা দ্রুত উদ্ধার টিম নিয়ে সেখানে পৌঁছে দুপুর দেড়টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করার পর নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের কাজে হস্তান্তর করি’।
নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাহিদ আরমান বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয়দের সহায়তায় মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দীর্ঘ ১ ঘন্টার চেষ্টায় কলেজ ছাত্র আসিফের মরদেহ উদ্ধার করে। ফায়ার সার্ভিস আমাদেরকে লাশ হস্তান্তর করলে লাশ থানায় নিয়ে এসেছি। আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে’।