মিরসরাই প্রতিনিধি
মিরসরাইয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধূর নাম রিজিয়া আক্তার আক্তার আঁখি (৩০)। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার ৬ নম্বর ইছাখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাহেবদীনগর গ্রামের ভাঙ্গনী এলাকায় মিঝি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আঁখির স্বামী মঈন উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। আঁখি উপজেলার ৯ নম্বর মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গড়িয়াইশ গ্রামের ইউসুফ আলী ভ‚ঁইয়া বাড়ির শাহ আলমের মেয়ে। আঁখির বাবার দাবি তার মেয়েকে হত্যার পর ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে।
আঁখির বাবা শাহ আলম বলেন, বুধবার দুপুরে আমার মেয়ের জামাইয়ের মামাতো ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলে আপনি একটু মেয়ের বাড়িতে (শ্বশুর বাড়ী) আসেন। তখন আমি জিজ্ঞেস করি কেন? তখন ও বলে যে আপনার মেয়ে মারা গেছে। তখন আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মেয়ের স্বামীর বাড়ীতে ছুটে যাই। গত ১ সপ্তাহ আগেও আমার মেয়ে আঁখিকে স্বামী মঈন উদ্দিন মারধর করায় সে রাগ করে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। পরবর্তীতে তার স্বামী আমাদের বাড়িতে এসে তাকে আর মারধর করবে না বলে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, ১০ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মেয়েকে নানাভাবে নির্যাতন করতো স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজন। মেয়ের ঘরে ৮ বছরের এক ছেলে সন্তান থাকায় মেয়েকে সবসময় ধৈর্য্য ধরতে বলি। গতকাল তারা আমার মেয়েকে মেরে বসতঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই। এই ঘটনায় আমি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, গতকাল বুধবার দুপুরে রিজিয়া আক্তার আঁখি নামে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় ওই নারীর স্বামী মঈন উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।