মিরসরাই প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের পাশে যাত্রীবাহী গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা মীরা রানী ভৌমিক (৫৩)। এসময় বেপরোয়া গতির কাভার্ড ভ্যানের চাপায় ঘটনাস্থলে প্রাণ গেল ওই শিক্ষিকার। তিনি মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছরা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এসময় আরো দুই জন আহত হন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া মাজার গেটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ কাভার্ড ভ্যান চালক আব্দুল আলিম (২৪) কে আটক করেছে।
আহতরা হলেন, জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার শ্যামল নাথের পুত্র অরুপ নাথ (১৮)। তিনি নিজামপুর সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। অপরজন স্বপন নাথ (৭০), পেশায় রাজমিস্ত্রী। স্বপন নাথকে স্থানীয় রেডিয়েন্স হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহত শিক্ষিকা ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া গ্রামের সুধাংশু আমিন বাড়ীর অজিত চন্দ্র নাথের স্ত্রী।
খৈয়াছরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রবাল ভৌমিক জানান, বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও রমজান মাসে শিক্ষার্থীদের বিশেষ ক্লাস নেওয়া হচ্ছিল। ক্লাস শেষে বাড়ি যাওয়ার জন্য বড়তাকিয়া মাজার গেইট গাড়ীর জন্য মহাসড়কের পাশে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এসময় দ্রুতগামী কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে এসে মীরা রানী ভৌমিককে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন। তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে খৈয়াছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। দুর্ঘটনায় হঠাৎ সহকর্মীর এভাবে চলে যাওয়া মানতে কষ্ট হচ্ছে।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের সার্জেন্ট মীনার হোসেন জানান, গাড়িতে উঠার জন্য যাত্রী চাউনির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্কুল শিক্ষিকাসহ আহতরা। দুপুর দুইটার দিকে চট্টগ্রামমুখী একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দিলে দাঁড়িয়ে থাকা তিন জনের মধ্যে ঘটনাস্থলেই স্কুল শিক্ষিকা মীরা রানী ভৌমিকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় কাভার্ড ভ্যান চালক আব্দুল আলিমকে আটক করা হয়েছে। দুঘটনাস্থল থেকে কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।