রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগে মিয়ানমারের সামরিক শাসক মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম খান। তিনি গতকাল বুধবার জানিয়েছেন, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী এই নেতা রোহিঙ্গা নিপীড়নের জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
আইসিসির প্রসিকিউটর কার্যালয় জানিয়েছে, ২০১৬-১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার সময় সংঘটিত অপরাধ তদন্তে পাঁচ বছর ধরে কাজ চলছে। ওই সময় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ভয়াবহ অভিযান চালায়। হত্যাকান্ড, ধর্ষণ, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগের ফলে অন্তত ৭ লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালাতে বাধ্য হয়। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
প্রসিকিউটরের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী, জাতীয় পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং কিছু স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহযোগিতায় এই মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।
করিম খান বলেন, এই অপরাধগুলো মিয়ানমার ও আংশিকভাবে বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে। মিন অং হ্লাইং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও দেশান্তরিত করার দায়ে অপরাধী।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দৃঢ়তা এবং তাদের আইনের প্রতি আস্থার প্রতীক হিসেবে আইসিসি কাজ করে যাচ্ছে। দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সামরিক অভিযানে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
আইসিসির বিচারকরা এখন এই আবেদনটি পর্যালোচনা করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে কিনা তা নির্ধারণ করবেন। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক মাস লাগতে পারে।