মালদ্বীপে ইসরায়েলি প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা

1

পূর্বদেশ ডেস্ক

ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার প্রতিবাদে আইন করে ইসরায়েলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মালদ্বীপ। গতকাল মঙ্গলবার মালদ্বীপের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুইজ্জু সংসদে এ আইনটি অনুমোদন দেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ অনুমোদন ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান ইসরায়েলি নৃশংসতা ও গণহত্যাযজ্ঞের প্রতিক্রিয়ায় সরকারের দৃঢ় অবস্থানকে প্রতিফলিত করে। ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য দাবির প্রতি দৃঢ় সংহতি পুনর্ব্যক্ত করছে মালদ্বীপ। খবর বাংলানিউজের।
মালদ্বীপের প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রæয়ারি মাসে ২ লাখ ১৪ হাজার বিদেশি পর্যটকের মধ্যে মাত্র ৫৯ জন ইসরায়েলি পর্যটক এ দ্বীপরাষ্ট্রে ভ্রমণ করেছিলেন।
পর্যটন নির্ভর দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে ইসরায়েলি পর্যটকদের ওপর থেকে পূর্বের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। তবে ২০১০ সালে স্বল্প সময়ের জন্য সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেয় দেশটি।
ইসরায়েলের বর্বরতা ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে মালদ্বীপের বিরোধী দল এবং সরকারি মিত্ররা ইসরায়েলিদের নিষিদ্ধ করার জন্য মুইজ্জুর ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিল।
বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বছর তাদের নাগরিকদের মালদ্বীপে ভ্রমণ এড়িয়ে চলার আহবান জানায়। ফলে মালদ্বীপে ইসরায়েলি পর্যটকের সংখ্যা কমতে থাকে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে আক্রমণ চালায়। হামাসের ওই হামলায় বেসামরিক নাগরিকসহ ১ হাজার ২১৮ জন নিহত হন। এর পর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সে অভিযান শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নিধনযজ্ঞে রূপ নিয়েছে।
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতির মধ্যে কমপক্ষে ১ হাজার ৬১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলিদের হামলায় নারী ও শিশুসহ মোট নিহত হয়েছেন প্রায় ৫১ হাজার মানুষ।