‘মার্চ টু গাজীপুর’ ও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা

3

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুরে মাওলানা রইস উদ্দিন কাদেরীকে মিথ্যা অপবাদে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের দ্রæত গ্রেপ্তারের দাবিতে নগরের লালদীঘি চত্বরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আতের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। সমাবেশে আজ রবিবার ‘মার্চ টু গাজীপুর’ এবং আগামীকাল সোমবার অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মুফতি অছিয়র রহমান আলকাদেরী। সমাবেশ সঞ্চালনায় ছিলেন মাস্টার আবুল হোসাইন ও সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম।
সমাবেশে শায়খুল হাদিস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী বলেন, বৈষম্য ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অন্তরায়। শহীদ আল্লামা নূরুল ফারুকীর হত্যার বিচার হয়নি, এবার গাজীপুরের খতিব মাওলানা রইস উদ্দিনকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। এই বিচার বহিভর্‚ত হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলা নেয়নি। প্রশাসন কার ইন্ধনে এমন আচরণ করছে আমরা জানি না। খুনিরা গ্রেপ্তার না হলে দায় সরকারকে নিতে হবে।
মুফতি অছিয়র রহমান বলেন, সুন্নী জনতার প্রতি এতো বৈষম্য কেন? একজন ইমাম ও খতিবকে মিথ্যা অপবাদে পিটিয়ে হত্যা করা হলো, এখনও খুনিরা ধরা পড়েনি। ৫ আগস্টের মত পরিস্থিতি আর সৃষ্টি হোক তা চাই না। আমরা বিচার চাই, প্রতিশোধ না।
আল্লামা জুবাইর বলেন, রইস উদ্দিন একজন সম্মানিত ইমাম ও খতিব ছিলেন। তাঁর হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত সুন্নী জনতা রাজপথ ছাড়বে না।
বক্তারা রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ খোলার সিদ্ধান্তেরও তীব্র বিরোধিতা করেন। তাঁরা বলেন, এটি দেশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। পাশাপাশি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলামবিরোধী সুপারিশকেও প্রত্যাখ্যান করা হয়। আলেম-ওলামা ও বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে নতুন করে কমিশন গঠনের দাবি জানান তাঁরা।
সমাবেশ শেষে হাজারো জনতা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন যা লালদীঘি থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিউ মার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শায়খুল হাদিস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী, পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর, পীর অধ্যক্ষ আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মুহাদ্দিস আল্লামা আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, মুফতি আবুল কাশেম ফজলুল হক, অ্যাড. আবু নাছের তালুকদার, পীরজাদা আবদুল করিম কুতুবী, এম সোলাইমান ফরিদ, পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আমিরী, আল্লামা শাহ নূর মোহাম্মদ আলকাদেরী, মুফতি কামাল উদ্দীন আজহারী, আল্লামা আনিসুজ্জামান আলকাদেরী, পীর শাহেদুর রহমান হাশেমী, অধ্যাপক সাইফুদ্দিন খালেদ, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, আবদুর রহিম, এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, অধ্যাপক জালাল উদ্দীন আজহারী, মাওলানা নুরুল মোস্তফা হেজাজী, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন তৈয়্যবী, অধ্যাপক সৈয়দ হাফেজ আহমদ, অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দীন, অধ্যক্ষ ইব্রাহিম আখতারী, ফজলুল করিম তালুকদার, মাওলানা হাফেজ সৈয়দ মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা ইউনুস তৈয়্যবী, এমএ সবুর, অ্যাড. মোখতার আহমদ ছিদ্দিকী, অ্যাড. ফরিদুল ইসলাম, মাওলানা মঈনুদ্দীন চৌধুরী হালিম, জসিম উদ্দীন, মাওলানা আবু সালেহ জঙ্গী, মাওলানা নুরুল্লাহ রায়হান খান, আবদুল করিম তারেক, এনামুল হক ছিদ্দীকী, মীর আবদুর রহিম মুনিরী, মাওলানা গিয়াস উদ্দীন নিজামী, নাছির উদ্দীন মাহমুদ, মাওলানা ওয়াহেদ মুরাদ, অধ্যাপক জামাল উদ্দীন, অধ্যক্ষ হাফেজ আহমদ, মুহাম্মদ আলী হোসাইন, আলমগীর ইসলাম বঈদী, মাওলানা করিম উদ্দিন নূরী, মাওলানা এনাম রেজা, মাওলানা মঈন উদ্দীন কাদেরী, এইচ এম শহীদুল্লাহ, আবু ছাদেক টিপু, ইব্রাহিম খলিল, জি. এম শাহাদত হোসাইন, নিজামুল করিম সুজন, মুফতি কাজী শাকের, এমরানুল ইসলাম, হাবিবুল মোস্তফা ছিদ্দিকী, মামুন উদ্দিন ছিদ্দিকী, মুনিরুল ইসলাম, মাওলানা রাশেদুল ইসলাম কাদেরী, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, শাহেদুল আলম, ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, নূর রায়হান চৌধুরী, মো. ওসমান, ওমর ফারুখ, মো. সাজিদ, ওবাইদুল্লাহসহ আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আতের পীর-মাশায়েখ ও ওলামায়ে কেরাম।