বিপণী বিতানের সাধারণ ব্যবসায়ী ও ভোটারবৃন্দে’র উদ্যোগে মার্চেন্টস ওয়েলফেয়ার কমিটির নির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদে গত ২৪ মে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মার্চেন্টস ওয়েলফেয়ার কমিটি ২০২৫-২৬ সালের কার্যবর্ষের সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ২১ মে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পর গত ২৭ ও ২৮ এপ্রিল পর্যন্তÍ মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় নির্ধারিত হয়। তফসিল ঘোষণার প্রথমদিনে ৩২টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন প্রার্থীরা। ১৫ জন করে মোট ৩০ জন প্রার্থীর মনোয়নপত্রের ফরম সংগ্রহ করা হয়। বাকি দুটি মনোনয়নপত্রের ফরম সংগ্রহ করেন আলাদাভাবে। পরবর্তীতে ৪ মে পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম জমার তারিখ পুনঃনির্ধারণ করা হয়। কিন্তু খুরশিদ আলম ও নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে দুটি প্যানেলের মোট ৩০ জনের মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার কথা থাকলেও খুরশিদ আলম প্যানেল থেকে ছয়জন ও নিজাম উদ্দিনের প্যানেল থেকে নয়জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা করে বিনাভোটে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে। সেদিন যে দুটি সাধারণ সদস্য ফরম সংগ্রহ করেছিলেন তার মধ্যে একটি ফরম জমা নিলেও অন্যান্য ফরম জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে সদস্যরা ১২ মে নির্বাচন কমিশনার জাহিদুল হাসান এবং ১৩ মে মার্কেট তত্ত¡াবধায়ক বডির আহŸায়ক আবুল কাশেম বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক ও উপপরিচালক বরাবরও অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিপণী বিতান সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাহাদাত হোসেন, তমিজুর রহমান, আহমেদ কাদের, হাসান রেজা, আশরাফ হোসাইন, মো. হোসেন, মো. শামীম হোসাইন, ফরিদ আহমেদ, এস.এ.এম শাহজাহান, মো. শওকত মান্নান, জাফর আলম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা পাঁচ দফা দাবির কথা উল্লেখ করেন। পাঁচ দফা দাবি হলো-১৯ মার্চ ২০২৫ তারিখের তফসিল বাতিল ঘোষণা করতে হবে। নতুন করে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাতানো এই তথাকথিত কমিটিকে অবিলম্বে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি