মানুষের কল্যাণে হতে হবে মানবিক ডাক্তার

1

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হবে, শুধু পেশাগত দক্ষতা একজন চিকিৎসককে পূর্ণতা দেয় না। একজন প্রকৃত ডাক্তার হতে হলে দরকার মানবিকতা, সহমর্মিতা ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা। তোমরা এখন চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রথম ধাপে পা দিলে- এই পথ কঠিন, তবে মহৎ। এই পথের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকবে হাজারো মানুষের নির্ভরতা, বিশ্বাস ও আশা। সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করতে হলে চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে মানবিক মূল্যবোধ। একজন রোগীর কাছে একজন চিকিৎসক শুধু একজন পেশাজীবী নন- তিনি ভরসার প্রতীক। যখন কেউ ব্যথায় কাতর, অসহায়, তখন একটুকু সহানুভূতির কথা, একটি ভরসার হাত অনেক বড় ঔষধ হয়ে ওঠে। রোগীর প্রতি দয়াশীল ও দায়িত্বশীল আচরণ একজন ডাক্তারের সবচেয়ে বড় গুণ। তাই আমি আশা করি, তোমরা এমন চিকিৎসক হবে যারা শুধু ওষুধ দেবে না, বরং মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসা ও আস্থা স্থাপন করবে। মানুষের কল্যাণে হবে মানবিক ডাক্তার’।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ (সিআইএমসি) এর এমবিবিএস ১২তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিআইএমসি’র গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ডা. একেএম ফজুলল হক, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান অর্থোপেডিক সার্জন ডা. এটিএম রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেভেলপমেন্ট ফর এডুকেশন সোসাইটি অ্যান্ড হেলথ এর সেক্রেটারী ও কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন সবুজ।
এনাটমি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ফেইজ-১ কো-অর্ডিনেটর ডা. তৌহিদা নাহিন এবং ফিজিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জুয়াইরিয়া রেজওয়ানার সঞ্চালনায় ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে আরো বক্তব্য রাখেন এনাটমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হাবিব খান, ফিজিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আসমা কবির সোমা, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন শরীফ।
ওরিয়েন্টেশনে চসিকের মেয়র আরও বলেন, ‘তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ, আগামি প্রজন্মের নেতৃত্ব তোমাদের হাতেই। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তোমাদের শিখতে হবে শুধু পঠিত পাঠ নয়, শিখতে হবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সংকটে সঙ্গী হওয়া, ন্যায়ের পক্ষে থাকা। আমি চাই তোমরা এমন এক প্রজন্ম তৈরি করো, যারা চিকিৎসার মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করবে, এবং মানবিক মূল্যবোধের অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠবে’।
১২ তম ব্যাচে গরীব ও মেধা কোটাসহ ১৮ জন ছাত্র ও ৪২ জন ছাত্রীসহ সর্বমোট ৬০টি আসনে ভর্তি নেয়া হয়। অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে ২ জন ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ২ জন বক্তব্য রাখেন। বিজ্ঞপ্তি