মানুষকে গীতামুখী করতে পারলেই কুসংস্কারমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ হবে

11

সীতাকুন্ড শঙ্কর মঠ ও মিশনের উদ্যোগে জগৎগুরু শঙ্করাচার্যের শুভ আবির্ভাব উৎসব উপলক্ষে শ্রীশ্রী বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ, ধর্মসম্মেলন ও ‘আচার্য শঙ্কর’ শীর্ষক আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়েছে। গত রবিবার মঠের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজের সভাপতিত্বে ও শ্রীমৎ রূপকানন্দ ব্রহ্মচারীর সঞ্চালনায় মঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রীমৎ জগদীশ্বরানন্দ ব্রহ্মচারী।
আলোচক ছিলেন ধর্মতত্ত্ববিদ স্বামী সচ্চিদানন্দ গিরি, মঠের সহ-সভাপতি অধ্যাপক তড়িৎ কুমার ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম ঋষি অরবিন্দ সোসাইটির সভাপতি রতন ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কুশল বরণ চক্রবর্তী, মৃণাল কান্তি ভট্টাচার্য, নাট্যকার সুদর্শন চক্রবর্তী।
দেবশিশুবৃন্দের সমবেত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বৈশাখ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে ভারতের কেরলে কালাডী গ্রামে ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জগৎগুরু শঙ্করাচার্য। গীতা প্রচারের মাধ্যমে সমাজ ও দেশকে আলোকিত করতে হলে জগৎগুরু শঙ্করাচার্যের আদর্শ-উদ্দেশ্য বুকে ধারণ করতে হবে। বাংলার এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তের মানুষকে গীতামুখী করতে পারলেই কুসংস্কারমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ হবে। গীতার আদর্শ জীবনকে আলোকিত করে। শিশু থেকে শুরু করে সবাইকে গীতার আদর্শে জীবনকে গড়ে তুলতে হবে, গীতাকে জানতে হবে।
বক্তারা বলেন, ধর্ম চেতনা ও ধর্মবোধ মানুষকে সত্য সনাতন সুন্দরের পথে পরিচালিত করার ফলে সমাজ থেকে অন্যায়-অনাচার দূরীভ‚ত হয়। ধর্মবোধ মানুষকে ন্যায়ের শিক্ষা দিয়ে সভ্য করেছে। নিষ্কাম কর্ম ও অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ থেকে উত্তরণের জন্য মনুষ্যত্বের সাধনা করাই হলো গীতা শিক্ষা। তাই গীতার আদর্শ ও উদ্দেশ্য বুকে ধারণ করতে পারলে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ হবে।
বক্তারা আরও বলেন, বিশ্বজনীন ধর্মগ্রন্থ শ্রীশ্রীমদ্ভগবত গীতার কর্ম, জ্ঞান ও ভক্তি মানুষকে বিভিন্ন অপকর্ম থেকে বিরত রাখে। বিজ্ঞপ্তি