মাইজভান্ডারী তরিকার প্রবর্তক, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.)-এঁর জন্মদ্বিশতবার্ষিকী স্মারক কর্মসূচির অংশ হিসেবে, দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিরি)-এর উদ্যোগে এক ‘ইনভাইটেড টক’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফস্থ ডিরি কনফারেন্স হলে আয়োজিত এই সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল: “সোসিওলজি অব সুফিজম: প্র্যাকটিসিং সুফিজম ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড দি টিচিংস অব মাইজভান্ডারিয়ান অ্যাপ্রোচ”। সুফিবাদ ও এর সমাজতাত্ত্বিক প্রভাব নিয়ে গভীর আলোচনার জন্য দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ও গবেষকগণ এতে অংশ নেন।
আলোচনা সভায় সেশন চেয়ার হিসেবে সভাপতিত্ব করেন ডিরি’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি ও চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, মাইজভান্ডারী দর্শন মানবতা, নৈতিকতা, ও ধর্মসাম্যের এক পূর্ণাঙ্গ তরিকা। এই তরিকা যুগে যুগে ভ্রাতৃত্ব, সহনশীলতা ও ভালোবাসা শিক্ষা প্রদান করেছে, যা বর্তমান বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে অত্যন্ত জরুরি।
তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, সুফিবাদ মানুষের ভেতরের আলো জ্বালায়, আল্লাহকে দেখার পথ দেখায়। সুফি দর্শন মানুষকে আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে ভেতরের অন্ধকার দূর করে দেয় এবং পরম সত্যের দিকে পরিচালিত করে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমেই প্রকৃত মানবিক মানুষ হওয়া যায় এবং নিজেকে শুদ্ধ করতে পারলেই পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব মানবতা মানবিক হবে। অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল গণি তার গবেষণালব্ধ তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, সুফিবাদ একটি নীরব সামাজিক শক্তি, যা বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদে শান্তি ও সংহতি বজায় রাখতে দীর্ঘকাল ধরে কাজ করছে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে মাইজভান্ডারী তরিকা ধর্মীয় বিভেদ ভুলে গিয়ে সকলের জন্য মুক্তির পথ উন্মোচন করেছে এবং এই তরিকার শিক্ষাই সম্পদের সুষম বন্টন ও সৃষ্টির কল্যাণে কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগায়। আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হানিফ মিয়া, চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ডিরি’র সেক্রেটারি জেনারেল কাজী মো. সাইফুল আসপিয়া।











