মানবতা ও মৈত্রী চর্চা হৃদয়ে প্রসারিত করতে হবে

1

একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া বলেছেন, ‘মহামানব সাম্যবাদী বুদ্ধ বলেছেন, ‘আত্মদীপ ভব!’ বুদ্ধের এ আদর্শের পতাকায় নিজেকে বিকশিত করার নামই সদ্ধর্ম বিকাশ বিহার। এর মানে হচ্ছে, নিজের ভিতর আলোর দীপ জ্বালিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। আমার শক্তি, আমার বল। অজ্ঞানকে জ্ঞান প্রজ্ঞার অনুভ‚তির আলোতে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার শিক্ষা নিতে হবে। হিংসাকে অহিংস নীতিতে, কামনা ও ক্রোধ বীরত্বে নয়, প্রেমের বিশ্বজনীনতা, মানবতা ও মৈত্রী চর্চা হৃদয়ে প্রসারিত করতে হবে। কুশল কর্মের মাধ্যমে নিজেকে করতে হবে প্রচেষ্টামুখী, প্রেরণামুখী, জীবন্ত, প্রাণবন্ত, প্রাণঢালা’।
পটিয়া উপজেলার তেকোটা সদ্ধর্ম বিকাশ বিহার প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী কঠিন চীবরদান উৎসবের সমাপনী দিন গত শনিবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন বিকেলে জৈষ্ঠপুরা শাক্যমুনি বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত জিনানন্দ মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন বান্দরবান স্বর্ণজাদির ভদন্ত উ পাঞঞা তিলক মহাথের, দেশক ছিলেন ভদন্তানন্দ মহাথেরো।
উদ্বোধক ছিলেন তেকোটা সদ্ধর্ম বিকাশ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শরণ সেন মহাথেরো। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বিকাশ বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক কামনাশীষ বড়ুয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুবীর বড়ুয়া, সহ-সভাপতি আশিস বড়ুয়া, সহ-সভাপতি সরিৎ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবপ্রিয় বড়ুয়া ঝুলন, অধ্যাপক অরূপ বড়ুয়া। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন ধর্মীয় সম্পাদক সত্যপ্রিয় বড়ুয়া। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রণব বড়ুয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহ-সম্পাদক শিপলু বড়ুয়া ও সংগীতশিল্পী রুবেল বড়ুয়া। শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। দু’দিনের কর্মসূচিতে বিহার উন্নয়ন সংলাপ, কৃতি শিক্ষার্থী সম্মাননা, বিহার ভ‚মিদাতা সম্মাননা, শ্মশানবন্ধু সম্মাননা ও বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়। চীবর বুননে বিশেষ সহযোগিতার জন্য শুভেচছা স্মারক প্রদান করা হয় গৌতম বড়ুয়া ও সহধর্মীনি ঝুমকি চৌধুরী (ফ্রান্স প্রবাসী)। বিজ্ঞপ্তি