বাংলাদেশ জমিয়তুল মোদার্রেসীনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব এর সম্পাদক এএম বাহাউদ্দীন বলেছেন, বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশ। তথাপি এদেশে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা পশ্চাৎমূখী। শিক্ষাক্ষেত্রে মাদ্রাসা শিক্ষার ভূমিকা সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার চেয়ে পিছিয়ে না থাকলেও মাদ্রাসা শিক্ষা অনেকটা গুরুত্বহীন। স্বাধীনতার ৫৪ বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও মাদ্রাসা শিক্ষা বৈষম্যের শিকার। স্খলনমুক্ত, নৈতিকতাসমৃদ্ধ, দেশপ্রেমিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একটি সুস্থ প্রজন্ম গঠনে মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা কোনোভাবেই উপেক্ষিত হবার নয়। তাই মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন এবং অধিকতর যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সম্মিলিত প্রয়াস বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। তিনি মাদ্রাসা শিক্ষার প্রভ‚ত উন্নয়নে প্রতি বিভাগে ন্যূনতম ১টি মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ জমিয়তুুল মোদার্রেসীন চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ মহানগর এর উদ্যোগে আয়োজিত পীর মাশায়েখদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগরের একটি রেস্টুরেন্টে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর কো-চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ছৈয়দ মুহাম্মদ অছিউর রহমান আল কাদেরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ জমিয়তুল মোদার্রেসীনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা শাব্বির আহমদ মোমতাজী।
তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এবতেদায়ী মাদ্রাসাই হচ্ছে একজন শিশুর শিক্ষার প্রারম্ভিক স্তর। এ দু’ধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষতঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে পূর্ণাঙ্গ পৃষ্টপোষকতা দেয়া হয়। অপরদিকে অত্যন্ত নির্মমভাবে উপেক্ষিত হয় এবতেদায়ী শিক্ষা ব্যবস্থা। দু’টির মধ্যকার দৃশ্যমান হয় অপেক্ষাকৃত বিশাল ব্যবধান ও বৈষম্য। তারা ‘কলুর বলদ’ এর মতো বছরের পর বছর খেটে যাচ্ছে বিনা পারিশ্রমিকে। অথচ এসব এবতেদায়ী শিক্ষকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো অভিন্ন সিলেবাস ও কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের অহর্নিশ পাঠদান করে আসছেন। তাই অবিলম্বে স্বতন্ত্র ইবতিদায়ীসহ সকল স্তরের মাদ্রাসা শিক্ষকদের চাকইর জাতীয়করণ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলম শাহপাড়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা শামসুল আলম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যক্ষ এজহারুল হক, মাওলানা মুহাম্মদ মোবাশশিরুল হক নাঈম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জমিয়তের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়ক অধ্যক্ষ ছৈয়দ মুহাম্মদ আবু ছালেহ্। বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন, জমিয়তের দক্ষিণ জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ আল্লামা আবদুল খালেক শওকী, উত্তর জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ আল্লামা একরামুল হক। নগর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. হাফেজ মহিউল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা রজায়ী দরবারের পীর কাজী এরশাদ উল্লাহ্ রজায়ী, আমানত শাহ মাজারের আওলাদ শাহাজাদা হাবিব উল্লাহ্ খান মারুফ, উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ছালেহ্ আহমদ আনছারী, শাহাজাদা এ আর কামরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ ছৈয়দ ত্বোয়াহা মোহাম্মদ মোদ্দাচ্ছির, অধ্যক্ষ রিদুয়ানুল হক হক্কানি, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আলা উদ্দীন আল কাদেরী, অধ্যক্ষ ড. খলিলুর রহমান, সৈয়দ মাহমুদুল হক নঈমী, শাহাজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ মাসুম কামাল, মুফতি ছালেহ্ সুফিয়ান, নজরুল ইসলাম মাইজভান্ডারি, হাফেজ মুহাম্মদ নঈম উদ্দীন নাঈমী মাইজভান্ডারি, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন আশরাফী, মাওলানা আবু আহমদ আজহারী, শাহাজাদা সৈয়দ খায়রুল আমিন চিশতি, অ্যাড. মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম সেলিম, শাহাজাদা আহমদুর রহমান হক্কানি, সৈয়দ আবেদ শাহ চিশতি, শাহাজাদা শামসুদ্দিন হাবাবী, এসএম আবু ছাদেক সিটু, শাহাজাদা মহিউদ্দিন মোহাম্মদ তাওসিফ রেজা মোহাম্মদ ওমর ফারুক প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি











