মাটি খুঁড়ে লুকিয়ে রাখা ২১ লাখ টাকা উদ্ধার

2

লামা প্রতিনিধি

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির কার্যালয়ে ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৮ টাকার মধ্যে ২১ লাখ ১৭ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে ও গতকাল শনিবার দুপুরে পৌরসভা এলাকার সাবেক বিলছড়ি এলাকার একটি পাহাড়ের ঢালু ও বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব টাকা উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে বাড়ির অদূরে পাহাড়ের চ‚ড়ার মাটির নিচ থেকে ২ লাখ ৬৭ হাজার, আবদুর রহিমের বাড়ি থেকে ৫০ হাজার ও করিমের বাড়ি থেকে ১৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত করিম নামক এক যুবকের মা আনোয়ারা বেগমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব টাকা উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
এর আগে পুলিশ লামা পৌরসভা ও চকোরিয়া উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন চকরিয়া উপজেলার পূর্ব ভেওলা ইউপির নয়াপাড়া ২নং ওয়ার্ডের পদ্মাছড়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে মারুফুল প্রকাশ আরিফ (৩০), চকরিয়া ল²াচর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মাজেরপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে নাঈমুল ইসলাম (সাগর) (৩১), লামা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মৃত সাহেব আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (৩৬) ও ডাকাতিতে জড়িত লামা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক বিলছড়ি এলাকার আবদুল করিমের মা আনোয়ার বেগম (৪৫)।
টাকা উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, আসামিদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক অভিযান চালিয়ে ডাকাতির এই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতির অবশিষ্ট টাকা ও আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আরিফ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ও অপরাধ স্বীকার করে উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে রাতে লামা পৌরসভার লাইন ঝিরিঝিরিতে অবস্থিত আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির কার্যালয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ১৪-১৫ জনের মুখোশ পরা ডাকাতরা আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে লকার থেকে ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৮ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরদিন এ ঘটনায় লামা থানায় মামলা করা হয়।