মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যের মৃত্যু

1

বান্দরবান প্রতিনিধি

দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করলেন বিজিবির এক সদস্য। কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি)-এর সদস্য নায়েক মো. আক্তার হোসেন গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মৃত্যুবরণ করেন।
বিজিবি সূত্র জানায়, গেল ১২ অক্টোবর নায়েক আক্তার হোসেন কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ রেজুআমতলী বিওপিতে অস্থায়ীভাবে সংযুক্ত দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওইদিন সকালে পেয়ারাবুনিয়া সীমান্ত এলাকায় টহলরত অবস্থায় মাইন বিস্ফোরণে তিনি গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত সিএমএইচ, রামু সেনানিবাসে নেওয়া হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরদিন বিজিবির হেলিকপ্টারে করে সিএমএইচ, ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল শুক্রবার সকালে তার হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়। উপস্থিত চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদাত বিন সিরাজ (ইন্টেনসিভিস্ট বিশেষজ্ঞ)-এর তত্ত্বাবধানে টানা ৪৫ মিনিট ধরে সিপিআর প্রদান করা হলেও তার হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নায়েক আক্তার হোসেনের মৃত্যুতে পুরো বাহিনীতে গভীর শোক নেমে এসেছে। কর্তৃপক্ষ তাকে শহীদের মর্যাদা প্রদান করেছে।
এদিকে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম (পিএসসি) বলেন, দেশের সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমরা এক সাহসী সহযোদ্ধাকে হারালাম। নায়েক আক্তার হোসেনের আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। বিজিবির এ কর্মকর্তা শোক প্রকাশ করে আরও বলেন, শহীদ নায়েক আক্তার হোসেন দেশের জন্য আত্মোৎসর্গের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার আত্মার মাগফেরাত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রয়াত নায়েক আক্তার হোসেনের মরদেহ পরবর্তীতে নিজ জেলা ভোলার দৌলতখানে দাফন করা হবে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায়।