দীঘিনালা প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় মাইনী নদীতে লাকড়ি ধরতে নেমে নদীর স্রোতে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘন্টা পর বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকালে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিম গিয়ে মাইনী নদীতে উদ্ধার কাজ শুরু করে। গতকাল শনিবার সকালে বাবুছড়া ইউনিয়ন থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে নোয়াপাড়া এলাকা থেকে তরিৎ চাকমার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. জাকারিয়া বলেন, নিখোঁজ তরিৎ চাকমার মৃতদেহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিম উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। মৃতদেহ পরিবারের সদস্য কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গগন বিকাশ চাকমা বলেন, ‘ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে ২৪ ঘন্টা মধ্যে নিখোঁজ তরিৎ চাকমার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত কুমার সাহা তরিৎ চাকমার বাড়িতে গিয়ে দাহক্রিয়া সম্পন্ন করা জন্য ২৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা পংকজ বড়ুয়া বলেন, রাঙামাটি থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিম ও দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় নিখোঁজ তরিৎ চাকমার মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
উল্লেখ, গত শুক্রবার সকালে উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের কেতুচন্দ্র কার্বারী পাড়ার বাসিন্দা তরিৎ চাকমা (৫৫) মাইনী নদীতে লাকড়ি ধরতে গিয়ে নদীতে পড়ে যায়।