মহেশখালীতে ২০ একর জমি দখলমুক্ত করলো বনবিভাগ

1

মহেশখালী প্রতিনিধি

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জামিরছড়ি ও জেএমঘাট নামক এলাকায় প্যারাবনের বাইন গাছ নিধন করে অবৈধভাবে চিংড়িঘের নির্মাণকারীদের কবল থেকে সরকারি জমি দখলমুক্ত করেছে উপক‚লীয় বনবিভাগ।
মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জামির ছড়ি নামক এলাকায় ৫ আগস্টের পর বিএনপি নেতা শাহাজান এবং বদরখালীর কাইছারের নেতৃত্বে প্যারাবন কেটে পৃথক প্রায় ২০ একরের ২টি চিংড়ি ঘের করা হয়। সেখানেই অভিযান চালায় বনবিভাগ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল পর্যন্ত গোরকঘাটা ও চরণদ্বীপের রেঞ্জ কর্মকর্তা আয়ুব আলীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে জামিরছড়ি ও জেএমঘাট এলাকায় প্যারাবন কেটে অবৈধভাবে নির্মিত ২০ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়। এসময় প্যারাবন নিধন করে নির্মিত দুইটি চিংড়ি প্রকল্পের সব বাঁধ কেটে দিয়ে সরকারি জমি উদ্ধার করে বনবিভাগ।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শাপলাপুর ইউনিয়নের জামিরছড়ি ও জেএমঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় ৫ আগস্টের পর প্যারাবন কেটে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালীরা জোটবদ্ধ হয়ে নির্মাণ করে আসছে অবৈধ চিংড়ি ঘের। এসব অবৈধ চিংড়ি ঘের কেটে দেওয়ায় পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা বনবিভাগের লোকজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
অভিযান চালিয়ে অবৈধ চিংড়ি প্রকল্প কেটে দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপক‚লীয় বনবিভাগের গোরকঘাটা ও চরণদ্বীপ রেঞ্জ কর্মকর্তা আয়ুব আলী। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সা¤প্রতিক সময়ে সরকারি জমি দখল করে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় রাতের আঁধারে চিংড়িঘেরসহ নানান স্থাপনা তৈরি করছে উপজেলার একাধিক প্রভাবশালী চক্র।
গোরকঘাটা ও চরণদ্বীপের রেঞ্জ কর্মকর্মা মো. আয়ুব আলী জানান, আমার নেতৃত্বে বনরকর্মীরা ৫০-৬০ জনের মাটি কাটার শ্রমিক নিয়ে ৫ আগস্টের পর অবৈধভাবে নির্মিত চিংড়ি ঘেরের বাঁধ কেটে দিয়ে বন বিভাগের পৃথক ২০ একর জায়গা দখল মুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ভ‚মি দস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।