মহাসড়ক: সম্প্রসারণ নিয়ে কেন ধূম্রজাল !

9

মিঞা জামশেদ উদ্দীন

(১ম পর্ব)
উন্নয়নের কথা বললেই ঘুরেফিরে যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা এসে যায়। সড়ক ও সেতু মন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয় বার দায়িত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। তিনি অগ্রাধিকারভিক্তিতে যেসব কাজ সমাপ্ত করেছেন, তাদের মধ্যে পদ্মাসেতু নির্মাণে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বিশ্বব্যাপী। এক কথায় বলতে হয়, যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিতর্কেরও জন্ম হয়েছে। তারপরও বলতে হয়, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আরেকটু সচেতন ও কৌশলী হলে সুনাম হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। একইসাথে অগ্রাধিকার দিতে হবে জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ কমিয়ে আনতে হবে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণও। বিশেষ করে জনবহুল ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাকে বিবেচনায় আনতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক উন্নয়নে এসকল বিষয় চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়ে আসছে। চট্টগ্রামের বায়েজিত সড়ক নির্মাণে বহুবিধ বিতর্কের জন্ম দেয়। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তের বিরুদ্ধে সুয়ামোটো মামলা রুজু হয়েছিল। এ মামলার ফলাফল কি হবে কমবেশ সকলে জানতেন; অবশ্য তাই হয়েছে। দৃশ্যত এটি নির্মাণ করতে গিয়ে সুউচ্চ-খাড়া পাহাড়কে কাটতে হয়েছে। এতে করে অস্তিত্বের সংকটে পড়ে চন্দ্রনাথ পাহাড় ও আকবর শাহ পাহাড়। বর্তমানে সড়কটির পুর্বদিক থেকে ক্রমাগত আগ্রাসীন হয়ে এগিয়ে আসছে ভুমিদস্যুরা। অর্থাৎ পাহাড়কে গিলে খাওয়ার উপক্রম হয়েছে। উত্তর খুলশি, ফয়েজলেক, আকবর শাহ, ঝাউতলা সংলগ্ন, বায়েজিদ এলাকার দিক থেকে জবর দখল হতে চলেছে। কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যাঙেছাতার মতো অসংখ্য স্থাপনা গড়ে উঠে। অনেকটা পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। যদিওবা পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে পাহাড় কাটার প্রবণতাও জেগে ধরেছে। এতে করে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। পাহাড় না কেটেও সড়ক সম্প্রসারণের কাজ করা যায়- কক্সবাজা চারলেন সম্প্রসারণ কাজ তারই দৃষ্টান্ত। সঙ্গে বন্যপ্রাণীর অভয়াশ্রম বা চলাচলে নির্বিঘেœতা রাখতে হয়েছে। বায়েজিত সড়কটি নির্মাণে একইপ্রকৃয়া অনুস্মরণ করা উচিত ছিল। পাহাড় না কেটেই সুড়ঙ্গ পথে রাস্তা নির্মাণ করা যেত অনায়াসে। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি তেমন একটা আমলে নেননি। নিজেদের খেয়ালখুশি মতো সড়ক নির্মাণ করেই ছাড়ে। যেখানে নদীর তলদেশ কর্ণফুলী ট্যানেলের মতে ব্যয়বহুল ও অকল্পনীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা সাধিত হয়েছে। সে তুলনায় সুড়ঙ্গ পথে বায়েজিত সড়ক নির্মাণ করাটা তেমন একটা কঠিন কাজ ছিল না। এখন গিলে খাচ্ছে পাহাড়। এটি পরিবেশের উপর মারাত্মকভাবে প্রভাব পড়ছে।
বায়েজিত সড়কের পশ্চিমপ্রান্তে অর্থাৎ যে অংশে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। ওই স্থলটিতে অন্তত ৮ দিক থেকে গাড়ি চলাচল করে আসছে। সঙ্গে পোর্ট কানেকটিং সড়ক ও রেললাইন চলে গেছে বন্দরে। স্পটটিতে বহুমুখী যান চলাচল করায় অত্যাধিক ঝুকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। সঙ্গে প্রতিনিয়ত প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে চলেছে। লেগে থাকে দীর্ঘ যানজটও। ওইস্থলে রয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বিএসসি নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার ও ট্রপিক্যাল ইনস্টিটিউট। এখন ওই স্পটটিতে নির্বিঘেœ যান চলাচলে ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠে। বাদ্য হয় উত্তর ও দক্ষিণাংশের সম্প্রসারণ করার কাজ। আপাতত যা দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণাংশের কালু শাহ (রা.) ব্রীজ লাগোয়া ফকিরহাট হতে ‘উ’ আকৃতির ইউটান সম্প্রসারণ কাজ তোড়জোড়ভাবে চলছে। যা কিনা যানজট নিরসনে কতটুকু বা সহায়ক হচ্ছে, তা দেখার বিষয়। তবে যান চলাচলের নির্বিঘ্নতা বজায় রাখতে ঢাকামুখি পশ্চিমাংশের ওইলেন অর্থাৎ ফকিরহাট বাজার হতে উত্তরাংশের বাংলা বাজার, ক্যাডেট কলেজ গেট পর্যন্ত উড়াল সড়ক বা ফ্লাইওভার করাটা অনেকটা বাদ্যবাদকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মনে রাখতে হবে ফকিরহাটের ওই ইউটান বন্দরের প্রবেশের একমাত্র সম্মুখস্থল। ওই অংশে পোর্ট কানেকটিং গামিতা, ঢাকামুখি যানও বের হয় এবং তা নির্বিঘ্নতা রেখে গন্তব্যে দিকে ধাপিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা কিনা অটো যানজট নিরসনের একমাত্র মাধ্যম হয়ে ওঠতে পারতো। এক্ষেত্রে আরো নির্বিঘ্নতা বজায় রাখতে পোর্ট কানেকটিং সড়কের সম্মুখে দ্বিতীয়- আরেকটি ইউটান স্থাপন করা যেতে পারে। এর ফলে বন্দরমুখি গাড়ি কালুশাহ (রা.) ব্রীজ পারপার না করেই সরাসরি বন্দরে প্রবেশ করতে পারে। এতে করে চট্টগ্রামগামী যান চলাচলের ওপর চাপ কমে আসবে এবং ফকিরহাট বাজার ও বায়েজিদ সড়ক হয়ে ঢাকামুখি ও চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সকল যানও উড়াল সেতু হয়ে নির্বিঘেœ পারাপার করতে সহজ হবে। এতে যানজটের তীব্র নাগাল থাকার কথা নয়; এদিকে ফকিরহাট থেকে নিমতলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ কাজের যে মহাযজ্ঞ চলছে, তা অনেকের কাছে বোধগম্য নয়; ওই ধরণের সম্প্রসারণ হওয়ায় কথা ছিল পোর্ট কানেকটিং সড়ক ও বায়েজিত সড়কের সম্মুখকঘিরে বাংলা বাজার অংশে। না, সেই অংশেরও নামমাত্র কাজ চলছে। যা কিনা যান চলাচলে নির্বিঘœ বজায় রাখতে যথেষ্ট নয়। তবে এ অংশে, ক্যাডেট কলেজের সম্মুখেও তৃতীয় আরেকটি ইউটান দেয়া যেতে পারে। বন্দর থেকে আসা যান বায়েজিত অথবা চট্টগ্রামগামি না হয়ে সরাসরি বন্দরে গমন করতে পারে। বন্দরের প্রবেশ প্রবেশদ্বার পোর্ট কানেকটিং সড়কটির সম্মুখের অংশ আরো আরো উত্তরপাশ চেপে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। ওই চত্বরের পুলিশবক্সের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা জানি না; ওটি সরিয়ে সম্মুখস্থলে তৃতীয় কানেকটিং সড়কটি আরো প্রশস্ত করে সংযুক্তি বাড়ানো যেতে পারে। পোর্ট কানেকটিং সড়ক এবং মেরিন ড্রাইভ সড়কটিও পৃথক হবে ডিসি পার্ক সড়কের দক্ষিণাংশ থেকে। ওখানেও ইউটান নির্মাণ করা হলে দূর্ঘটনার ঝুঁকি কমে আসবে। অন্যথায় ওইস্থলেও দূর্ঘটনা প্রবণ হয়ে ওঠবে। মেরিন ড্রাইভ সড়কটির নক্সা অনুযায়ী দ্রæত উত্তর দিকে ক্রমাগত এগিয়ে যাবে। সঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বায়েজিত সড়কের ফুটওভার ব্রিজ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তাও দেখা দিয়ে। নানা কারণে ওইস্থলে লোক সমাগমের চাপও থাকবে অত্যাধিক। প্রয়োজনে ফুটওভার ব্রিজের দুদিকে
র‌্যাম্প স্থাপন করে জন চলাচল সুগম করা যেতে পারে। যেহেতু এটি বহুমুখী চলাচলের সম্মুখস্থল। এটি যথাযথভাবে বিন্যাস ও সুচারু রাখতে এসব প্রদক্ষেপকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দক্ষিণাংশে যে কাজটি চলমান রয়েছে, সেটি কর্নেলহাট পর্যন্ত সম্প্রসারণ হওয়া উচিত। নিমতলাস্থ বিএসআরএম-এর ওই ফ্যাক্টরীটির সম্মুখস্থলে সড়ক ও জনপদের বিশাল অংশ দখল করে রেখেছে টিনের ঘেরা দিয়ে। অথচ ফ্যাক্টরীটির বড় বড় লরি রাস্তাজুড়ে দিব্যি দাঁড়িয়ে থাকে। এতে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজটও।
এদিকে অলঙ্কার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ১৯২কি.মি. দীর্ঘ মহাসড়ের প্রস্তাবিত ১০ লেন সহ এলিভেটর এক্সপ্রেস রোড নির্মাণ নিয়েও ইতিমধ্যে ধ্রুমজাল সৃষ্টি হয়েছে। এলিভেটর রোডটি ট্রাঙ্ক রোডের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে নির্মাণ করার প্রস্তাব রয়েছে। কিন্তু এটি নির্মাণ করতে গিয়ে জনবসতির ওপর অত্যধিক চাপ পড়তে পারে। সঙ্গে বাস্তু হারাদের সংখ্যাও রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। এক্ষেত্রে যত সম্ভব বসতভিটা উচ্ছেদের সংখ্যা কমিয়ে আনা যায় কি-না, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে ব্যয়ও কমে আসবে এবং যান চলাচলও স্বাভাবিকতায় ফিরে আসবে। এক্ষেত্রে বিকল্প চিন্তাভাবনাও করা যেতে পারে। বর্তমানে ৪ লেনকে ১০ লেনে উত্তীর্ণ করা যেতে পারে। প্রয়োজনে আইল্যান্ডকে যুক্ত এনে নক্সা পুনঃ মুল্যায়ন করা উচিত। সঙ্গে ফুটপাতও রাখতে হবে। ট্রাঙ্ক রোডের দুই পাশে সড়কের প্রজাপ্তপরিমাণ জায়গা রয়েছে। ওই জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সম্প্রসারণের কাজ তরান্বিত করা যায়। যতটুকু জানাযায়, এ সম্প্রসারণ কাজের অলঙ্কার থেকে ফেনী পর্যন্ত কোন বাঁধা আছে বলে মনে হয় না; শত বছরের পুরনো স্থাপনা হলে ক্ষতিপূরণ দিতে আপত্তি থাকার কথা নয়। ছোট কুমিরা হাম্মাদ খা মসজিদটি সুলতানি আমলের। এটি এখন ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ। শুধু মাত্র ওই অংশে আইল্যান্ড সহ পশ্চিমে চেপে ১০ লেন সম্প্রসারণ কর যেতে পারে। পন্থিছিলা বাজারও পশ্চিমে চেপে করতে হবে। মিরসরাই বাজারে বাইপাস নির্মাণে জনমত উপেক্ষা করা যায় না। এটি দক্ষিণে ইসমাইল কারপেটেরের বাদামতলী থেকে শুরু হবে। মূলত উপজেলা পরিষদ ঘেঁষে পশ্চিম দিকে বাইপাস নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এটি শেষ হবে সুফিয়া রোডে গিয়ে। অনেকে আবার এও অভিমত প্রকাশ করেন। মিরসরাই বাজারে দুই পাশেও সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে কিছু কিছু স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে। অনেকটা থানার নাক ঘেঁষে যাবে সড়ক। বরাবরই উচ্ছেদে পড়া প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিপূরণ গুনতে হয় তিনগুণ। আবার অনেকে এ আশায় নতুন নতুন স্থাপনা গড়ে তোলার তোড়জোড় চলছে। এ বিগত কয়েক বছরের মধো ট্রাঙ্করোডের দুই পাশে অসংখ্য স্থাপনা গড়ে ওঠেছে।
তেল ও গ্যাস পাইপ লাইন স্থাপনে অনাহূত ভুগতে হয় ঠিকাদারকে। অনেকটা নিঝঞ্ঝাট রাখাটা দুর্সাধ্য হয়ে পড়ে। অথচ এ পাইপ লাইন দুটি উচ্চতর চাপ চঞ্চালিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা সর্তক বার্তা দিয়েই চলেছে। কিন্তু এর সংশ্লিষ্টতা বা সংস্পর্শে থাকা স্থাপনা সরাতে তেমন একটা উদ্যোগ নিতে দেখা যায় নি। এরপরও কেনজানি কোথাও কোথাও জেট আকৃতি পাইপলাইন স্থাপন করতে বাধ্য হয়। আবার কোথাও কোথাও মূল সড়ক কেটে নিতে তোড়জোড় চলছে। গ্রাউন্ডলেভেলও অনুস্মরণ করা হয়নি। এতে করে তেল/ গ্যাসের পেসার নিয়ে শঙ্কায় থাকতে হবে। আরো পূর্বপাশ ঘেঁষে পাইপলাইনটি সরিয়ে পুনঃস্থাপন করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। অন্যথায় প্রতি কি.মি. অন্তর অন্তর পেসার যন্ত্র বসাতে বাধ্য হবে। যা হবে গলার কাটা! যা মহেশখালি হতে মিরসরাই ইকোনমিজোনের গ্যাস লাইন, তেলের পাইপলাইনটি কুমিল্লা পর্যন্ত দীর্ঘ ছিল। এসব পাইপলাইন স্থাপনে সীতাকুন্ড উপজেলা পরিষদের সম্মুখেও এমন জটলা সৃষ্টি হয়। এটিও রাস্তাকেটে বসানো হবে কিনা জানি না; অবশ্য যে অংশ নিয়ে জটিলতার সূত্রপাত হয়েছে, জিরো পয়েন্টের সড়কের ওই অংশের ওই জায়গাটিও বেদখলে রয়েছে। ওই বেদখলি জায়গা রক্ষা করতে যুব ফাউন্ডেশনের নামে আরেকটি স্থাপনা গড়ে তুলে সড়কের জাগার উপর। সঙ্গে ফুটপাতও ঢালাই করে শতভাগ নিশ্চিত করে বেদখলিরা। যা কিনা প্রশাসনের মাথার ওপর বন্দুক ঠেকানো সামিল। সব মিলেই জগাখিচুড়ি অবস্থায় দাঁড়িয়েছে ঐ অংশে। অথচ ওই অংশে সড়ক ও জনপদের ৩০ ফুট প্রস্তরেও অধিক জায়গা অধিগ্রহণ রয়েছে। উপজেলা ভ‚মি অফিসের নামেও দখল করে রেখেছে সড়কের ওই অংশের জায়গা। অথচ সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলি একে অন্যের সহায়ক না হয়ে, উপজেলা পরিষদের আশপাশে এর ভিন্নরূপ পরিলক্ষিত হয়ে ওঠেছে। প্রশাসনকে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রথমে নিজের ঘর সামলানো উচিত। অথচ সেখানে প্রশাসন নিজেই বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। সঙ্গে গ্যাস ও তেলের পাইপলেন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে স্থাপনা করা উচিত বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করে। মনে রাখতে হবে, ওইসকল পাইপলেন একেকটা জীবন্ত বোমার চাইতে ভয়াঙ্কর। তাই আশপাশে সকল স্থাপনা নিরাপদ দূরত্বে সরে নেওয়া উচিত।
বাস্তুহারা চাইতে ছোট ছোট স্থাপনা, পেট্রোল ফার্ম, আংশিকস্থাপনা, কবরস্থান, শিল্পাপ্রতিষ্ঠানের দেয়াল সরিয়ে নেওয়া উচিত। দুঃখের সাথে বলতে হয়, এই কেমন প্রবণতা পেয়ে বসেছে, রোড এন্ড হাইওয়ে জায়গার উপর এসব পবিত্র স্থাপনা কেন বা গড়ে তোলা হবে; এসবে পূর্ণ অর্জনের চাইতে সমাজে অবৈদ দখলের আধিক্যতা বেড়ে যায়।
লেখক : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক, কবি ও কলামিস্ট