
মিঞা মোহাম্মদ জামশেদ উদ্দীন
মর্মান্তিক ঘটনা। একেবারে আমাদের নাগালে, সীতাকুন্ড পৌরসভার মৌলভী পাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। গ্রামটির বিপরীতে আমাদের দোয়াজীপাড়া গ্রাম। দুর্ঘটনায় কবলিত মা মাকছুদা খাতুন (৪৮), মেয়ে সানজিদা আক্তার (২৪) প্রাণ হারালো। তারা ২-১০-২০২৫ইং শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এক আত্মীয়ের জানাজা শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে তাদের বাহন (অটোরিক্সা) গ্রামের রেললাইনের ক্রসিং পার হতে গিয়ে এ দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। দুর্ঘটনায় অটোরিক্সা চালক সহ অপর আরোহীরা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। ৫/১০/২০২৫ ইং অর্থাৎ প্রথম যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল, ঠিক তার তিনদিন পরে এবার আমার বাড়ির এক ছেলে, রিস্তা ভাইপুত হয়, খাজা মিয়া অপর একটি অটোরিক্সার সাথে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। এটিও ঘটেছে আমাদের গ্রাম দোয়াজীপাড়ার রাস্তার সম্মুখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সন্ধ্যায় ৭টার দিকে। সে এশারের নামাজ পড়তে গ্রামের মসজিদে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। এলাকার লোকজন সিএনজিটি আটক করে নিয়ে আসে। দুদিন ধরে তাদের জিম্মায় আটক ছিল। পরে একটা বুঝাপড়া শেষে গাড়িটি ছেড়ে দেয়। তবে এ সিএনজি বিআরটিএ অনুমোদন ছিল না, অর্থাৎ যেখানে বিআরটিএ অনুমোদিত গাড়ি চলাচল করার মহাসড়কে অনুমতি নেই, সেখানে নাম্বার বিহীন গাড়িও রাস্তায় চলাচল করে কি করে? ৫ অক্টোবর মহাসড়ক সীতাকুন্ড অংশে আরো একাধিক দূর্ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে সীতাকুন্ড টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক দিদারুল আলম চৌধুরী ওইদিন রাতে একটি মোটরসাইকেল ধাক্কায় সীতাকুন্ড সদর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে প্রাণ হারান। তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির চিফ ইন্সট্রাক্টর ছিলেন। বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা। স্থানিয় এলাকাবাসি ও সংবাদপত্রের প্রতিনিধি সূত্রে জানাযায়, ওইদিন পৃথক আরো দুটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কথা হলো এসব দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়াদের বেলায় আমরা সান্ত্বনা স্বরূপ বলি- ভাগ্যক্রমে বা হায়াত আছে বলেই বেঁচে গেছ; এবার একটু… করো। ব্যাস, এ টুকুতে সান্ত¡নাসহ অন্যান্য কার্যাদি শেষ করি। অথচ এটুকু চিন্তা করি না, নিহতদের অনাগত ভবিষ্যৎ, সংসার- সন্তানসন্ততিসহ অপূরণীয় ক্ষতি হল।
প্রথমত বলতে হয় মহাসড়ক বা হাইওয়ে সড়কে অটোরিক্সা, ব্যাটারিচালিত রিক্সা, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, রিক্সাসহ তিন ও দুই চাকার যান চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ প্রথম দুর্ঘটনায় কবলিত অটোটি হাইওয়ে সড়ক মাড়িয়ে অরক্ষিত রেলক্রসিং অতিক্রম করচ্ছিল। যেহেতু ওই রেলক্রসিংয়ে নিরাপত্তাপ্রহরীর নিয়োগ নেই, সেহেতু এটি অরক্ষিত। তাছাড়া রেললাইনে উপর সর্বদা বলবৎ রয়েছে, ১৪৪ ধারা।
অর্থাৎ রেললাইনে জন ও পরিবহন চলাচল সম্পুর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। এটি বৃটিশ আমলের আইন। এরপরও কোনো কিছুকে তোয়াক্কা না করে পরিবহনসহ হরদম জন চলাচলসহ রেললাইনে অযাথা ঘোরাফেরা বা অবস্থান করা, এমনকি রাত-বিরেতে রেললাইনে আড্ডা দেয়ার ঘটনা ও প্রবণতা তীব্রতর বেড়েছে। অনেকে আবার কানে হেডফোন লাগিয়ে মোবাইলে যতসব টিপাটিপি করতেও দ্বিধাবোধ করে না। এতে করে ক্রমাগত রেললাইনে দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এসব দুর্ঘটনায় কবলিতদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা বেশি।
স্থানীয়ভাবে এক হিসেবে দেখা গেছ, দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা রেললাইনের মৌলভীপাড়ার অংশের এক কিলোমিটারের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৭টি রেলক্রসিং রয়েছে। তারমধ্যে একমাত্র সীতাকুন্ড ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান নিয়োগ রয়েছে। তা-ও আবার এ বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রতিষ্ঠার ২-৩ বছরের মাথায় রেল গেটম্যান নিয়োগ দিতে বাধ্য হয়। তা কিনা ওই রেলক্রসিং স্থলে বড় একটি দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পরই। ওই দুর্ঘটনায় দ্রুতগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় একটি মাইক্রোবাস পুরোপুরি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে করে অন্তত ১১ জন মাইক্রোবাসযাত্রী মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারায়। ১৯৯৮ সালের দিকে সীতাকুন্ড ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রতিষ্ঠিত হয়। ইকোপার্কের এ রেলক্রসিংস্থলে সংঘটিত এ দুর্ঘটনার আরো কয়েক বছর পর ফকিরহাট রেলক্রসিং এলাকায় অনুরুপ একটি দুর্ঘটনায় তিন গ্রামবাসী প্রাণ হারান। অথচ ওই রেলক্রসিং এলাকায় এখনও গেটম্যান নেই। তারপর সংলগ্ন বারইপাড়া, ভ‚ঁইয়াপাড়া, মৌলভীপাড়ার উত্তর ও দক্ষিণে দুটিসহ হাসানগোমস্তা রেলক্রসিংয়ে কোন গেটম্যান নেই। এক কথায় বলতে হয়- যত্রতত্র যেহারে রেলক্রসিং সৃষ্টি হচ্ছে, সে গুলো নিয়ন্ত্রণহীন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা দায় হয়ে ওঠেছে। আমাদের সমাজ সংস্কারক ও সমাজপ্রতি- সেবকগণ এসব বিষয়ে মোটেই খেয়াল রাখছেন না বলে চলে ; দেখা যায়, একদিকে গড়ে উঠছে নতুন নতুন আবাসন। অন্যদিকে এসব আবাসন ও জনবসতিতে জরুরি হয়ে পড়ে জন চলাচলে পথঘাট ঠিকঠাক রাখা। এতে কিন্তু নতুন করে বেশকিছু সমস্যাও সৃষ্টি হয়। যা পরবর্তিতে রাষ্ট্র-ব্যবস্থাকে বহন করতে হয়, অর্থাৎ রক্ষণাবেক্ষণের দায় বিশালভাবে চাপ বাড়ছে।
দ্বিতীয় যে সমস্যাটি হলো নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা। এটিও অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। আগে দেখা যেতো, আশির দশকের দিকে, সদর স্টেশন থেকে রেলওয়ে পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থায় রেললাইনে টহল দিতো। সঙ্গে তারা লাইনের ভাঙাচোরাও দেখভালসহ রেললাইনে অযাচিত জন চলাচল নজরে রাখতো। প্রয়োজনে এ ধরনের অযাচিত ব্যক্তি- সমাবেশ আটক করে জেল-জরিমানাসহ শাস্তির ব্যবস্থা করা হতো। এক্ষেত্রে জোরালো প্রদক্ষেপ নেয়া হতো। এতে করে জন সচেতনাসহ অপরাধ প্রবণতা অনেক আংশে কমে আসতো। কিন্তু বিগত অর্ধশ বছর ধরে রেল প্রশাসনের এ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। যার ফলে হরহামেশাই রেললাইনের উপর ঘটছে এসব দুর্ঘটনা। এমনকি চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের প্রবণতাও বেড়ে চলেছে। এসব ঘটনায় অসংখ্য যাত্রী আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অতীতে।
কথা হলো, এখন জনসংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। তাই রেললাইন ঘেঁষে রাস্তা ও পারাপারে রাস্তা-ঘাট নির্মাণে বাধা বিহীন হিড়িক বেড়েছে। এ অবস্থায় যুগের চাহিদা মিটাতে রেল কর্তৃপক্ষকে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে হবে। প্রয়োজনে ঢাকা-টু চট্টগ্রামে পাতাল রেল লাইন স্থাপনের প্রদক্ষেপ নিতে হবে। একইভাবে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে উড়াল সড়ক নির্মাণ করতে হবে। জন চলাচলে এ মাধ্যমকে আরো নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক প্যাকেজপ্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।
একইসঙ্গে মহাসড়কেও দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে। ৩-১০-২০২৫ইং রোববার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশে দ্রুতগামী একটি বাসের ধাক্কায় আব্দুল খালেদ নামে এক সাইকেল আরোহী প্রাণ হারান। এভাবে আশঙ্কাজন হারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এসব দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪লেন সড়কের ধারণ ক্ষমতা হারাতে বসেছে। সঙ্গে সড়ক ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। বেড়েছে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্স বিহীন চালকের সংখ্যাও । তার সাথে যত্রতত্র গাড়ি পাকিংসহ নিষিদ্ধ তিন ও টু-হুইলার গাড়ি চলাচলের হিড়িক। এসব কারণে মহাসড়কে প্রাণহানি ঘটনার পাশাপাশি তীব্র যানজটও দেখাদেয়। ইদানিং রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে একাধিক দুর্ঘটনাও ঘটে চলছে। সীতাকুন্ডে টেরিয়াল এলাকায় এক ছাত্র রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রাণ হারান। অথচ ওইস্থলে রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ রয়েছে। এখন যা দেখা যাচ্ছে, ফুটওভার ব্রিজে সাধারণ পথচারীরা চলাচল না করে এলোপাতাড়ি রাস্তা পারাপার হয়। এতে দুর্ঘটনায় কবলিত হচ্ছে স্কুলগামী ছাত্রসহ বয়োবৃদ্ধ এলাকাবাসী। অথচ মহাসড়কের যেসব স্থানে ওভার ব্রিজ রয়েছে, ওইগুলো অনেকটা অলস অবস্থায় পড়ে আছে। নগরীর মিউনিসিপ্যাল স্কুলের সামনে ও স্টেশন রোডে ফুটওভার ব্রিজ পুরোটা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এ সকল ফুটওভার ব্রিজ এখন অসামাজিক কাজে জড়িত ব্যক্তি ও নেশা খোরদের নিরাপদ স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কর্নেলহাট ফুটওভার ব্রিজটি কিছু সচল রয়েছে। মহাসড়কের অপর ফুটওভার ব্রিজগুলোও সময়োপযোগী করে পুনরায় জন চলাচল ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে এসব ব্যবহারে আরো জনসচেতনতামুলক উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে স্কুল ছাত্রদেরও উদ্বুদ্ধ করণ করতে হবে।
চলতি বছরের (২০২৫ইং) ২০ অক্টোবর সীতাকুন্ডের বাড়বকুন্ডের কবির টাউরে বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ মো. জহুরুল আলম জহুরের সভাপতিত্বে অনুরূপ একটি জনসচেতনতামুলক অনুষ্ঠান আয়োজন করে বারআউলিয়া হাইওয়ে থানা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম, প্রাবন্ধিক ও গবেষক মিঁঞা মুহাম্মদ জামশেদ উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারআউলিয়া হাইওয়ে থানা ওসি আব্দুল মমিন।
বিশিষ্ট সমাজসেবক ও বাড়বকুন্ড ইউপি বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় অন্যান্য মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাড়বকুন্ড ইউপি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন রাসেল, সাবেক ইউপি মেম্বার ও সমাজসেবক সেলিম উদ্দিন রানা, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী লোকমান হোসেন রানা রকিব, সমাজসেবক মো. ইলিয়াস হোসেন, স্থানীয় কাকলী ক্লাবের সদস্য আকবর হোসেন জসিম, ব্যবসায়ী বিমল বড়–য়া, চালক কবির হোসেন, একরামুল হক, আক্তার হোসেন প্রমুখ।
পরে বারআউলিয়া হাইওয়ে থানা’র ওসি আব্দুল মমিন এলাকাবাসীর উপস্থিতে বাজারে পার্কিংস্থল নিধারণ করে দেয়। এরপূর্বে ২৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলার বিআরটিএ উদ্যোগে অপর একটি জনসচেতনতামুলক অনুষ্ঠান হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (সাবেক) ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাত উদ্দিন আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সচিব কামরুল ইসলাম, উপ-সচিব মো. মাসুম বিল্লাহ। সভায় অন্যান্য মধ্যে বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ইঞ্জিনিয়র মাসুদ আলম, বাস মালিকের পক্ষে বেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা বাস পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অলি আহম্মদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সাম্প্রতিক মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণের অর্থ বিতরণ করা হয়।
এতসব পরেও বলতে হয় মহাসড়কের ৪ লেন স্থলে ৮ লেনে, অর্থাৎ উভয় দিকে পৃথক ফুটপাত সহ ৮ লাইন উন্নীত করা। পারাপারে আন্ডার বাইপাস সড়কসহ ১৯২ কিলোমিটারের এ দীর্ঘ মহাসড়কে উড়াল সড়ক নির্মাণে প্রয়োজনীতা দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিন্তু উভয়দিকে নতুন করে ভুমি অধিকরণের ঝামেলা থাকছে না, তেমন-একটা জনবসতি উচ্ছেদের সম্ভাবনাও নেই। এ ধরো, টুকটাক অধিকতর ঘেরা-বেড়া-দেয়াল এবং ফাঁকা ফাঁকা ইমারত ও দোকান-পাট উচ্ছেদ করে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো নিরবিচ্ছিন্ন করে গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে সংযোগ হবে মেরিংড্রাইভ সড়কও। এটি কর্ণফুলী টানেলে হতে সন্দ্বীপ চ্যানেলের বেড়িবাঁধ হয়ে মিরসরাই জোরারগঞ্জ-বড়তাকিয়া হাইওয়ে সড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে।
মহাসড়ক সম্প্রসারণে সাময়িক ক্ষতিগ্রস্তদের তিনগুণ ক্ষতিপূরণ দেয়া হলে বড় ধরনের সমস্যা পোহাতে হবে না। অবশ্য এরমধ্যে এডিবি-র অর্থায়নে যাচাইবাছাইকৃত ১০ লেনের মহাসড়কের পৃথক প্রকল্পটি অনেকটা হাতির রসদ যোগানের মতো বিলাসী প্রকল্প। প্রাথমিকভাবে এডিবি এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৬৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ধরা হয়েছে, যা কিনা বাস্তবায়নে অলীক স্বপ্ন।
লেখক : কবি,গবেষক ও কলামিস্ট











